TMC, Debra, ডেবরায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ছায়া

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ অক্টোবর: রাজ্য নেতৃত্ব বারবার বলছে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে। কিন্তু তারপরেও বিজয়া সম্মেলনীতেও গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ছায়া ডেবরাতে।

রবিবার দুপুরে ডেবরা ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হয়। ডেবরা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই বিজয়া সম্মেলনীতে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু দেখা গেল না ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবির সহ তাঁর অনুগামীদের।

অনুপস্থিত ছিলেন ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ সীতেশ ধাড়া সহ তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় ও তাঁদের অনুগামীরা। যদিও এই নেতাদের অনুপস্থিতি নিয়ে তৃণমূলের ডেবরা ব্লকের সভাপতি খুব বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাননি। এইদিনের এই বিজয়া সম্মেলনীতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচ জলসম্পদ উন্নয়ন ও অনুসন্ধান মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা, তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশীস হুদাইত, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তি টুডু সহ জেলা পরিষদের বাকি দুই সদস্য সেলিমা খাতুন বিবি, রাধাকান্ত মাইতি ও বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব।

এইদিনের সভায় মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা ডেবরাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি দলের নেতাদের জনগণের চাকর হওয়ার পরামর্শ দিলেন। তারসঙ্গে ডেবরায় দলের কোনও ব্লক কার্যালয় না থাকায় তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি দল ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য ও যুক্তি নিয়ে কর্মীদের প্রচারে নেমে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা এইদিন বলেন, ”ডেবরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রচার শুরু করুন। ব্লক থেকে শুরু করে অঞ্চল ও বুথ স্তর পর্যন্ত প্রচার নিয়ে যান যুক্তি ও তথ্য দিয়ে।” পাশাপাশি তিনি বসে যাওয়া অভিমানী মানুষজনকে কাছে টেনে নিয়ে দলের কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, ”অভিমানী ভাইবোনদের হাত ধরে কাছে টেনে আনুন। অভিমানী গুরুজনদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে টেনে আনুন। কাজ শুরু করুন।”

পাশাপাশি তিনি সকলকে এক হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ”এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোনও বিক্ষিপ্ত কথা বলা চলবে না। সবাইকে জনগণের চাকর হতে হবে।”

যদিও এইদিনের সভায় সকলে উপস্থিত ছিলেন না। এই ব্যাপারে বিধায়ক হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ। কলকাতায় রয়েছেন। আর ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ সীতেশ ধাড়া বললেন, ”আমি ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। আগে থেকেই অ্যাপয়েনন্টমেন্ট করা ছিল। তাই যেতে পারিনি।”

তবে এই ব্যাপারে তৃণমূলের ডেবরা ব্লকের সভাপতি প্রদীপ কর বললেন, ”সবাইকে খবর দেওয়া হয়েছে। এখন কারোর যদি দলের কাজের থেকে ব্যক্তিগত কাজ প্রাধান্য পায় সেক্ষেত্রে কিছু বলার থাকে না। তবে বিজয়া সম্মেলনী ভালোভাবে হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *