পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ মার্চ: যাদবপুর ইস্যুতে উত্তেজনা ছড়ালো মেদিনীপুর শহরে। মেদিনীপুর কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এসএফআইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ। পরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে ডিএসও কর্মীদের আটক করে পুলিশ। যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে এক ছাত্রের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই প্রতিবাদে সোমবার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। তারই সমর্থনে সোমবার সকালে মেদিনীপুর কলেজে পিকেটিং করে এসএফআই- এর কর্মী সমর্থকরা। সেই সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি এবং মারধর শুরু হয়। দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ চলে কলেজের ভেতরে। পুলিশ কলেজের বাইরে ছিল। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশ একজন এসএফআই কর্মীকে তুলে নিয়ে গেছে বলে দাবি সংগঠনের। কলেজ গেটের বাইরে বিশাল পুলিশ বাহিনী থাকলেও আইনি জটিলতায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।
অন্যদিকে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে মিছিল করে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর সময় ডিএসও কর্মীদের আটক করে পুলিশ। ডিএসও-র অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখানোর সময় পুলিশ হামলা চালিয়েছে, মারধর করেছে। জেলা সম্পাদিকা সহ ১০ জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
মেদিনীপুর কলেজের ছাত্রী তথা এসএফআই কর্মী সাওলী দত্ত বলেন, “যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি যেভাবে এক ছাত্রকে চাপা দিয়ে চলে গিয়েছে, তারই প্রতিবাদে ছাত্র ধর্মঘট। মেদিনীপুর কলেজের ভেতরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিরাগতরা কলেজের ভেতরে প্রবেশ করে ছাত্র-ছাত্রীদের মারধর করেছে, এবং পুলিশ তাদের বলছে কলেজের বাইরে বের করে নিয়ে যেতে। সুচরিতা দাস নামে এক ছাত্রীকে কলেজের ক্যাম্পাস থেকে তৃণমূলের ছেলেরা বাইরে বের করে নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বহিরাগতরা কলেজের ভেতরে ঢুকে আমাদের মারধর করে। একজনের মাথা ফেটে গিয়েছে। অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শক।” কলেজ গেটে ধর্মঘটের সমর্থনে লাগানো বিভিন্ন পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। কলেজের ভেতরে প্রবেশ করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মারধরে জড়িত থাকার ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল।
যদিও বহিরাগত তথ্য উড়িয়ে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “বহিরাগত নয়, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদ জানিয়েছে। এসএফআইয়ের ছেলেরা সাধারণ ছাত্রদের মারধর করেছে। যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রীর উপর বর্বরোচিত আক্রমণ করেছে এসএফআই। ওরা ছাত্র স্বার্থ বিরোধী ধর্মঘট ডেকেছিল। মোটা লাঠি নিয়ে এসে কলেজে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চেয়েছে।”