SFI, Jalpaiguri, জলপাইগুঁড়িতে মিছিলে হাঁটিয়েে আন্দোলনে সামিল করানো হলো পড়ুয়াদের, অভিযোগ এসএফআই- এর বিরুদ্ধে

আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২০ জুন: দলীয় ঝাণ্ডা হাতে খুদে পড়ুয়াদের মিছিলে হাঁটিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরের সামনে আন্দোলনে সামিল করানোর অভিযোগ উঠল এসএফআই- এর বিরুদ্ধে। কারও বয়স বারো, আবার কারও বয়স তেরো। পড়ুয়ারা কিসের আন্দোলনে এসেছে জানে না। খুদে পড়ুয়াদের ঝাণ্ডা হাতে আন্দোলনে সামিল করানোর ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনীতি মহলে।

আইনজীবীদের দাবি, এটা অন্যায়। খুদেদের আন্দোলনে সামিল করানোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

শুক্রবার স্কুলের শিক্ষা পরিকাঠামোর উন্নতি সহ একাধিক বিষয়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের এই ভাবে যুক্ত করে বিতর্কে জরালো এসএফআই। এই ঘটনা জলপাইগুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তরে। প্রশ্ন উঠেছে সরকারি আইন অনুসারে স্কুল পড়ুয়াদের কোনও মিছিল মিটিংয়ে যুক্ত করা যায় না। কিন্তু তার পরেও কিভাবে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আন্দোলনে যুক্ত করা হলো তা নিয়ে
এসএফআই’কে চিঠি করতে চলেছেন জেলা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শক বালিকা গোলে বলে জানালেন।

অন্যদিকে এসএফআই- এর জেলা সভাপতি সাব্বির হুসেন সাফাই দিয়ে বলেন, তাঁদের সংগঠনের গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হলেই সদস্য পদ দেওয়া যায়। যে কারণে তারা ছাত্র- ছাত্রীদের নিয়ে এসেছিলেন। আরও বলেন, খুদেরা বাড়িতে একা থাকতো, এই কারণে দিদি- দাদাদের সঙ্গে এসেছে।”

স্কুলে সরকার নির্ধারিত ফিসের তুলনায় অত্যাধিক ফিস নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও স্কুলের শিক্ষা পরিকাঠামোর উন্নতি এবং স্কুলের স্বার্থে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি সহ মোট ৭ দফা দাবিতে এসএফআই- এর পক্ষ থেকে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে এদিন মিছিল করে স্মারকলিপি দেওয়া হয় জেলা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শকে।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য কমিটির সদস্য দেবজিৎ সরকার বলেন, “এসএফআই কোনও সংগঠন, কলেজ কিংবা কোথাও নেই। এই কারণে খুদেদের নিয়ে এসেছে।”

আইনজীবী সন্দীপ দত্ত বলেন, “খুদেদের কোনও আন্দোলনে সামিল করা যাবে না। এটা অন্যায়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *