জে মাহাতো, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ জুলাই: শুক্রবার দুপুরে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন(এসএফআই) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির পক্ষ থেকে শিক্ষাসংক্রান্ত বেশ কিছু দাবি নিয়ে সংগঠনের জেলা কেন্দ্র থেকে মিছিল করে কালেক্টরেটে গিয়ে জেলা শাসকেকের নিকট ডেপুটেশন দেওয়া হল।
মূল দাবিগুলি ছিল, স্কুল শিক্ষায় এক বর্ষ ও উচ্চশিক্ষায় এক সেমিস্টারের সমস্ত ফিস মকুব করা, সকল ছাত্রের জন্য অনলাইন পরিকাঠামো না গড়ে অনলাইন শিক্ষা না চাপানো, কোভিড-১৯ পরবর্তী শিক্ষায় ড্রপ আউট রোধ করতে দরিদ্র মধ্যবিত্ত ছাত্রসমাজকে শিক্ষার পরিসরে যুক্ত রাখতে কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে বিশেষ স্টিমুলাস প্যাকেজ চালু করতে হবে, কোভিড-১৯ পরবর্তী শিক্ষা ও পঠন পাঠন পদ্ধতি, পরীক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষাবর্ষের সূচি ইত্যাদি ছাত্র শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে যৌথ আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, শিক্ষা সূচি পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষা অন্যান্য ডিগ্রি পরীক্ষা, চাকরির প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে করতে করতে হবে, এ বছর ক্যাম্পাসিংয়ে বাড়তি জোর দিতে হবে, মিড ডে মিলের সঠিক সরবরাহ করে অন্তত মাসে দুবার একই পরিমাণ খাদ্য শস্য দিতে হবে, মাথা পিছু বরাদ্দ বাড়াতে হবে, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মিড ডে মিল দিতে হবে, মেস ভাড়া নিয়ে মেসের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মেস কর্তৃপক্ষকে সমঝোতায় আসতে হবে, সমস্যা হলে প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করতে হবে, স্কলারশিপ ফেলোশিপ ধারাবাহিক প্রদান করতে হবে এবং টাকার পরিমাণ বাড়াতে হবে, বেসরকারি স্কুলগুলি বন্ধ অথচ পরিবহনে ছাত্রদের ভাড়া বাবদ টাকা নেওয়া বন্ধ করতে হবে, রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা কলেজে হোস্টেল
আবাসিকদের ভাড়া কোনও ভাবেই বাড়ানো যাবে না, লকডাউন পরবর্তী সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্যানিটাইজ না করে ক্লাস শুরু করা যাবে না, সমস্ত ছাত্রছত্রীকে ফ্রিতে মাক্স স্যানিটাইজার দিতে হবে, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতবর্ষের সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ বাধ্যতামূলক করতে হবে ইত্যাদি।
এদিনের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ মুদি, ছাড়াও অভিষেক চ্যাটার্জি, বেলাল মির, রনিত বেরা দেবায়ণ ভট্টাচার্য প্রমুখ ছাত্র নেতা।