গোপাল রায়, আমাদের ভারত, আরামবাগ, ৬ অক্টোবর: বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে রূপনারায়ণ, দ্বারকেশ্বর ও দামোদর নদীর জল৷ জলের তলায় চলে গিয়েছে খানাকুলের সুলুট, নন্দনপুর, মারোখানা, রাজহাটি সুন্দরপুর সহ একাধিক গ্রাম৷ উদ্ধার কাজে নেমেছে এনডিআরএফ। কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়।
অবিরাম বৃষ্টিতে রূপনারায়ণ ও দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় প্লাবিত হয় নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা৷ বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইতে থাকে নদীর জল৷ জলের তলায় চলে যায় অধিকাংশ বাড়ি৷ শুক্রবার হুগলির খানাকুলে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে এসে এই অভিযোগ করেছেন জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক এবং রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এদিন তিনি আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দ্র সিংহ রায়, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন বেরা এবং আরামবাগের প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরাকেকে নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন।
তিনি জানান যে, রাজ্য সরকার দীর্ঘদিন আগে নিম্ন দামোদর ড্রেজিং প্রকল্পের প্রস্তাব জমা দেওয়ার সত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার দশকের পর দশক তাতে কোনো কর্ণপাত করছে না। এছাড়াও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, কেলেঘাই প্রকল্পের প্রস্তাব জমা দেওয়া সত্বেও কোনো কাজ হচ্ছে না। এই সমস্ত প্রকল্পগুলি করার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন সেই অর্থ রাজ্য সরকারের কাছে নেই, ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপরে নির্ভর করতে হচ্ছে।

