শুভেন্দু অধিকারী, কর্নেল দীপ্তাংশু-সহ একাধিক নেতা একসঙ্গে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলে

রাজেন রায়, কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর: শুভেন্দু ইস্তফা দেবেন তা প্রত্যাশিত ছিল তৃণমূলের কাছে। কিন্তু দলে যত দ্রুত বেসুরো হাওয়া উঠছে, তত দ্রুত ভাঙ্গন সামাল দিয়ে উঠতে পারছে না তৃণমূল। অন্যদিকে, এদিনই পদত্যাগ করেছেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী। এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার আসানসোল পুরসভার প্রশাসকের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তাঁরই ঘনিষ্ঠ দুই কাউন্সিলার অমিত তুলসিয়ান ও অভিজিত আচার্য এবং কর্পোরেশনের লিগাল অ্যাডভাইজার রবিউল ইসলাম। পদত্যাগ করেছেন দুর্গাপুর নগর নিগমের বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি লিখেছেন, “তৃণমূল ও দলীয় সমস্ত সংগঠনের সমস্ত পদ থেকে আমি ইস্তফা দিলাম। এতদিন দলের জন্য কাজের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।” যদিও তার বিধায়ক পদত্যাগ পত্রের মতই তাঁর এই পদত্যাগপত্রও এখনও গ্রহণ করেনি তৃণমূল কংগ্রেস।

উল্লেখ্য, তৃণমূলের ২০ সদস্যের রাজ্য কমিটির সদস্যের পাশাপাশি সাত সদস্যের কোর কমিটিরও সদস্য ছিলেন শুভেন্দু। এছাড়াও ডব্লিউবিপিটিসিসি-র সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে যুক্ত থাকলেও শুভেন্দু ২০০৬ সালে কাঁথি দক্ষিণ থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে পরপর দু’বার শুভেন্দু তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক হন এবং রাজ্যের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পান।

এদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একে একে দলের নেতারা সরব হতেই শুভেন্দু অধিকারীর পথে হেঁটে একে একে পদ ছাড়লেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন। পদত্যাগ করেছেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী। এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার আসানসোল পুরসভার প্রশাসকের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তাঁরই ঘনিষ্ঠ দুই কাউন্সিলার অমিত তুলসিয়ান ও অভিজিত আচার্য এবং কর্পোরেশনের লিগাল অ্যাডভাইজার রবিউল ইসলাম।

কিন্তু জিতেন্দ্র তিওয়ারি পদত্যাগ করার আগে তার কাউন্সিলররা পদত্যাগ করলেন কেন? রবিউল জানান, তিনি কোনওভাবে জানতে পেরেছেন, প্রশাসক পদ ত্যাগ করবেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর কথায়, “জিতেন্দ্র তিওয়ারি আমাকে পদ দিয়েছিলেন, উনি না থাকলে আমিও থাকব না।” আগামী দিনে যে দলবদলের ঝড় উঠতে চলেছে, তাই ঘটনাক্রম থেকে স্পষ্ট বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *