স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১৫ঃমে: এক তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় দুই বছর ঘরছাড়া বেশকিছু তৃণমূল পরিবার। এবার তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন তৃণমূলের নব নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা। নদিয়ার শান্তিপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সারাগর নতুনপাড়া এলাকার ঘটনা।
জানা গেছে, প্রায় ২ বছর আগে ওই এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী গোবিন্দ দাস নিজের এলাকাতেই খুন হন। তাকে গুলি করে খুন করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। অভিযোগ ওঠে ওই এলাকার কয়েকজন তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেই সন্দেহের বশেই ওই রাতেই একাধিক পরিবারের ওপর আক্রমণ করা হয়। প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় প্রায় ৯ টি পরিবারের সদস্যরা। এরপর অবাধে চলে বাড়ি ভাঙ্গচুর এবং লুটপাট। প্রায় দুই বছর ধরে ঘরছাড়া হয়ে প্রশাসনের দরজা এবং জনপ্রতিনিধির দরজায় দরজায় ঘুরেছেন তারা। অবশেষে শান্তিপুরের নবনির্বাচিত বিধায়ক এবং শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় কাউন্সিলরের তত্ত্বাবধানে প্রশাসনের সহযোগিতায় কয়েকটি পরিবারকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। যদিও এখনও চোখেমুখে আতঙ্কের ছায়া তাদের।
বাড়িতে রাত কাটাতেও রীতিমত ভয় পাচ্ছেন আক্রান্তরা। তাদের দাবি, তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাদের বাড়িঘর ভাঙ্গচুর করা হয় এবং তাদের যা জিনিসপত্র ছিল অবাধে লুটপাট চালায় ওই এলাকারই কয়েক জন দুষ্কৃতী। এ বিষয়ে এদিন ওই ঘরছাড়া পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ বলেন, এই ঘরছাড়া পরিবারদের উপর যে অত্যাচার চালানো হয়েছে তা এককথায় অমানবিক। আমরা আর্থিক দিক থেকে এবং কর্মসংস্থানের দিক থেকে চেষ্টা করব তাদের সাহায্য করার। এর পাশাপাশি তিনি বলেন প্রশাসনকে এ বিষয়ে নজর রাখতে বলেছি যাতে আবার কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং এই পরিবারগুলি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে যাতে বসবাস করতে পারে।
সুব্রত ঘোষ জানান, “এটা অমানবিক কাজ। সভ্য সমাজে এই রকম দেখা যায় না। যারাই করুক এটা ঠিক করেনি। তবে যেই করুক যারা এই মার্ডারের সঙ্গে যুক্ত, যারা প্রকৃত দোষী তারা আইনি পদ্ধতিতে শাস্তি পাক এটাই আমরা চাইব। তবে আজ আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে এখানে এসে যেটা দেখতে পেলাম তা অমানবিক। পৌরসভার পক্ষ থেকে এই গরিব মানুষগুলোর থাকার জায়গা সহ যতটুকু সাহায্য করার ততটুকু আমরা করব।”