আমাদের ভারত, ১১ আগস্ট: “এখন সংস্কৃত বলে, বা জনগণনায় সংস্কৃত মাতৃভাষা বলে লিখেছে মানে কী? ফেসবুকে প্রায়ই দেখি ভারতের ক’টা গ্রামে সংস্কৃতে কথা বলে এমন মানুষের কথা নিয়ে চালাচালি হয়। গ্রামগুলি কোথায় তা বলা হয় না।”
সোমবার সামাজিক মাধ্যমে এই মন্তব্য করলেন প্রবীন শিক্ষাবিদ ও ভাষাবিদ ডঃ পবিত্র সরকার। তিনি লিখেছেন, “এই কথাটা পরিষ্কার করি। ‘মাতৃভাষা’ হিসেবে, অর্থাৎ পরিবারে সব সময় বলা হচ্ছে, মা বলছে, তাই ছেলে বা মেয়ে মার কাছ থেকে সংস্কৃত শিখছে, বংশানুক্রমে এইভাবে চলছে, আধুনিক ভারতে এটা হতেই পারে না। অর্থাৎ ‘প্রথম ভাষা’ হিসেবে কেউ সংস্কৃত বলতেই পারে না।
তা হলে কী হয়েছে? সেন্সাসের লোকদের বলা হয়েছে যে আমাদের মাতৃভাষা সংস্কৃত। সেন্সাসের লোকেরা ভাষাতাত্ত্বের কিছু বোঝে না, তারা তা লিখে নিয়েছে। কথাটা কি লোকেরা মিথ্যা বলেছে?
আমি বলব অর্ধসত্য বলেছে। তারা হয়তো এমন সংস্কৃতজীবী পরিবারের লোক, ওই ভাষায় পণ্ডিত, যারা সংস্কৃত চর্চা করতে করতে ভাষাটা অনর্গল বলতে পারে। কেরলে এমন আছে, বাংলাতেও ছিল বা আছে। বাংলায় গৌরীনাথ শাস্ত্রী প্রমুখ অনেকেই এটা পারতেন। এই গ্রামগুলো কোথায় কেউ আমাকে জানাবেন?
ফলে এই গুজবটা চাউর হয়েছে যে ওই গ্রামে সংস্কৃতভাষায় কথা বলা হয়।”