বাবার স্বপ্নপূরণ সীমার, অকল্যান্ডে কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়ানশিপে ইকুইপড পাওয়ারলিফটিংয়ে আবারও সোনা জয় সীমা ও অংশু’র  

জয় লাহা, দুর্গাপুর, ১ ডিসেম্বর: ফের সোনা জয় সীমা ও অংশুর। অকল্যান্ডে কমনওয়েলথ ইকুইপড পাওয়ারলিফটিংয়ে চ্যাম্পিয়ানশিপে আবারও চারটি সোনা জয় করল দুর্গাপুর তথা বাংলার সোনার মেয়ে সীমা দত্ত চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে আরও তিনটি সোনা ও একটি রুপো জয় করেছে সীমার প্রশিক্ষক অংশু সিং। তাদের নজরকাড়া সাফল্যে গর্বিত দুর্গাপুর শিল্পশহরবাসী। 

প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর থেকে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে কমনওয়েলথ পাওয়ার লিফিটিং ও বেঞ্চপেস চ্যাম্পিয়ানশিপ ২০২২ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উদ্যোক্তা ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ারলিফটিং ফেডারেশন ও এশিয়ান পাওয়ারলিফটিং ফেডারেশন। চলবে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারে ১৬ টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছে।মূলত পাওয়ারলিফটিং ও বেঞ্চপেস দুটি বিভাগে জুনিয়ার, সাব জুনিয়ার, মাস্টার ওয়ান, টু, থ্রি ও ফোর ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগীতা হচ্ছে। যার মধ্যে ভারতের ৮০ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। মূলত জাতীয় স্তরে যেসব প্রতিযোগী সোনা ও রূপো জেতে তারাই ওই প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়। তার মধ্যে দুর্গাপুরের সীমা দত্ত চট্টপাধ্যায় ও অংশু সিং নির্বাচিত হয়। ২৯ নভেম্বর ছিল ইকুইপড ও ক্লাসিক বেঞ্চপেস প্রতিযোগিতা। সীমা ৬৩ কেজি দুটি বিভাগে দুটি সোনা জয় করে। একই সঙ্গে অংশু সিং ৮৩ কেজি ইকুইপড বেঞ্চপেস বিভাগে একটি সোনা জয় করে। ১ ডিসেম্বর ছিল ইকুইপড ও ক্লাসিক পাওয়ারলিফটিং প্রতিযোগিতার স্কোয়াট, বেঞ্চপেস ও ডেডলিফটিং ছিল। ওই তিনটি প্রতিযোগিতায় তিনটি সোনা জয় করে এবং ওভার অল ১ টি সোনা জয় করে। একই সঙ্গে স্ট্রংগেস্ট ওমেন প্রথম রানার আপ হয় সীমা। 

সাংসারের কাজ সামলে নিজেকে তৈরী করা একজন গৃহবধূর কাছে দৃষ্টান্তই শুধু নয়, বড় চ্যালেঞ্জ। আজ তার সাফল্য আর পাঁচটা মেয়েকে প্রেরনা জুগিয়েছে। একই সঙ্গে অংশু সিং সীমার প্রশিক্ষক। তিনিও এবারে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। অংশু কলকাতার বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে দুর্গাপুরে থাকেন। অংশু সিং ৮৩ কেজি ইকুইপড বেঞ্চপেস বিভাগে একটি সোনা জয় করে। এবার ইকুইপড ও ক্লাসিক পাওয়ারলিফটিং প্রতিযোগিতার স্কোয়াটে ১ টি সোনা, বেঞ্চপেসে ১ টি রূপো ও ডেডলিফটিং ১ টি সোনা জয় করে। একই সঙ্গে স্ট্রংগেস্ট ম্যান প্রথম রানার আপ হয় অংশু। 

সীমা জানান, “সাংসারের কাজ সামলে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। চ্যালেঞ্জে নিজেকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছে।” আর বাংলার এই দুই সোনার ছেলে মেয়ের সাফল্যে গর্বিত দুর্গাপুর তথা পশ্চিমবঙ্গবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *