Security, Rail, লালকেল্লা বিস্ফোরণের প্রভাবে গোটা দেশে জোরদার নিরাপত্তা, দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়েতে বিশেষ তল্লাশি অভিযান

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ নভেম্বর: দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে বিস্ফোরণের ঘটনার পরেই গোটা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে। রাজধানীতে এই বিস্ফোরণের জেরে শুধু দিল্লিই নয়, প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতেও হাই এলার্ট জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও জারি হয়েছে সতর্কতা। বিশেষত দক্ষিণ- পূর্ব রেলওয়ের আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে শুরু হয়েছে বিশেষ তল্লাশি অভিযান। খড়্গপুর, হিজলি, মেদিনীপুর, টাটানগর, রাঁচি সহ একাধিক স্টেশনে চলছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

খড়্গপুর স্টেশনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই চিরুনি তল্লাশি চালায় রেল সুরক্ষা বাহিনী আরপিএফ (RPF) ও স্থানীয় পুলিশ। যাত্রীদের লাগেজ, ব্যাগ, ট্রেনের ভেতর ও প্ল্যাটফর্মের প্রতিটি কোণায় চলছে কড়া তল্লাশি। বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড ও পুলিশ কুকুর ব্যবহার করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি স্টেশনের প্রতিটি সংবেদনশীল এলাকায় নজর রাখছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

হিজলি স্টেশনে মঙ্গলবার সকালে বিশেষ নিরাপত্তা অভিযান শুরু হয় ২২৮১২ নিউ দিল্লি–ভুবনেশ্বর তেজস রাজধানি এক্সপ্রেস পৌঁছনোর পর। ট্রেন থামার সঙ্গে সঙ্গেই আরপিএফ সদস্যরা প্রতিটি বগি, লাগেজ, হ্যান্ডব্যাগ ও সন্দেহজনক প্যাকেট পরীক্ষা করেন। স্টেশন প্রাঙ্গণ, অপেক্ষমান কক্ষ, ফুটওভার ব্রিজ—সব জায়গায় খুঁটিয়ে দেখা হয়।

হিজলি আরপিএফ-এর এক আধিকারিক জানান, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে স্কাউটিং টিম মোতায়েন করা হয়েছে। যাত্রাপথে ট্রেনের ভেতরেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে যাতে কোনও সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়ানো যায়।” এই স্কাউটিং টিম হিজলি থেকে ভুবনেশ্বর পর্যন্ত ট্রেনের সঙ্গে থেকে যাত্রীদের চলাচল পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে পরিচয়পত্র যাচাই করছে। সন্দেহজনক কোনও বস্তু বা ব্যক্তিকে দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হচ্ছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।

রেলওয়ে পুলিশ অফিসার প্রশান্ত কীর্তনীয়া জানান, “যাত্রীদের নিরাপত্তাই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে তাঁরা নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করেন।”

দক্ষিণ- পূর্ব রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে,পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্টেশন ও চলন্ত ট্রেন—দুই ক্ষেত্রেই এই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু থাকবে। লালকেল্লা বিস্ফোরণের ঘটনার পর জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও, রেল প্রশাসনের তৎপরতায় যাত্রীদের মধ্যে আস্থা ও নিশ্চিন্ততা ফিরে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *