সাথী দাস, পুরুলিয়া: কন্যাশ্রী শুধু মেয়েদের টাকাই দেয় না, সমাজ সচেতনও করে তোলে। তেমনই সামাজিক কাজ করে এবার কন্যাশ্রী দিবসে পুরস্কৃত হল পুরুলিয়ার তিন কন্যাশ্রী কন্যা। ওদের নাম ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্বতী গড়াই ও আলোরানী গড়াই। আজ পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষে তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত তিনজনই এখন একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে। আদতে হুড়া থানার লধুড়কা গ্ৰামের মেয়ে ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় এখন থাকে পুরুলিয়া শহরের ভাটবাঁধে। চিত্তরঞ্জন গার্লস হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করে এবার সে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে গিরিশচন্দ্র বিদ্যাপীঠে। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় সে কমবয়সে মেয়েদের মোটা হয়ে যাওয়া এবং তা রোধ করার উপায় নিয়ে একটি মডেল করে। বিজ্ঞান কংগ্ৰেসের জেলা স্তরে সেই মডেল প্রথম স্থান পায়। ইন্দ্রাণী বলেছে, কন্যাশ্রী মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ যোগায়। এই প্রকল্প মেয়েদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রঘুনাথপুর দু’নম্বর ব্লকের দামোদর নদ সংলগ্ন গ্ৰাম করগালিতে বাস পার্বতী গড়াইয়ের। তার বন্ধু আলোরানী গড়াইয়ের বাড়ি রামগড় গ্ৰামে। দু’জনই মধ্যবিত্ত পরিবারের। ওরা পড়ে চেলিয়ামা বিসি গার্লস হাইস্কুলে। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় এরা স্কুলে তৈরী করেছিল অত্যন্ত স্বল্পমূল্যের স্যানিটারি ন্যাপকিন। সেই ন্যাপকিন আবার পরিবেশ বান্ধব। দু’জনই কন্যাশ্রী। তারা বলে, কন্যাশ্রী পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলিতেও মেয়েদের সচেতন করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্প মেয়েদের ভাবতে শিখিয়েছে। স্কুলের ছাত্রীরা পুরস্কার পাচ্ছে জেনে খুশি চেলিয়ামা বিসি গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা চৈতালি মজুমদার ও চিত্তরঞ্জন গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ঈষিতা সরকার।
কন্যাশ্রী দিবসে এই তিন কন্যাকে সম্মানিত করল রাজ্য সরকার। কোভিডের কারণে জেলাশাসকের সভাকক্ষে একটি অনুষ্ঠানে তাদের হাতে মানপত্র ও উপহার তুলে দেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার ছাড়াও জেলা সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নিয়তি মাহাতো।