দেশের ৯ রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেওয়ার একাধিক মামলায় কেন্দ্রের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

আমাদের ভারত, ১০ ফেব্রুয়ারি: ৯ রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস পাঠাল। জনসংখ্যার হিসেবে রাজ্য অনুযায়ী সংখ্যালঘু নির্বাচনের দাবিতে করা আবেদনে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানি হয়। আদালত এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জবাবদিহি চেয়েছে। ৫ সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু মর্যাদা দেওয়ার বিরুদ্ধে চলা আলাদা আলাদা হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলাগুলিকে এক জায়গায় স্থানান্তরিত করার দাবিতে যে আবেদন জমা পড়েছিল তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, আইন মন্ত্রক ও সংখ্যালঘু মন্ত্রকের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের জবাব তলব করেছে আদালত।

ভারতবর্ষের একাধিক রাজ্যের হিন্দুদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দেওয়ার আবেদন জানিয়ে একাধিক হাইকোর্টে একাধিক আবেদন মুলতুবি রয়েছে। হাইকোর্টগুলির সেই আবেদনগুলিকে সুপ্রিমকোর্টে স্থানান্তর করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আবেদনের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তর করার জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের দাখিল করা আবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি অ্যাক্ট ১৯৯২-২(সি)–র বিধানগুলি মেনে দেশে যে সংখ্যালঘু মর্যাদা দেওয়া হয়, সেগুলিকে বাতিল করা হোক। একই সাথে‌ আবেদন করা হয়েছে যে সেগুলি যদি বাতিল না করা হয় , তাহলে যে নয়টি রাজ্যে যেখানে হিন্দুরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে সেখানে হিন্দুদের রাজ্য ভিত্তিক সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেওয়া হোক। এরফলে সেইসব রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু হবার সুবিধাগুলো পাবেন। কারণ সেখানে সংখ্যাগুরুরা সংখ্যালঘুদের সুবিধা ভোগ করছেন।

ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি ১০৯২–কে চ্যালেঞ্জ করে ঐ সমস্ত রাজ্যের হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলাগুলিকে সুপ্রিমকোর্টে স্থানান্তরের আবেদন করা হয়েছে। বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যাযয়ের দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যালঘু আইনের অধীনে মুসলিম, খ্রীষ্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও জৈনদের সংখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণা করেছে। একইসাথে বলা হয়েছে দেশের নটি রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু হলেও তারা সেখানে সংখ্যালঘু হবার সুবিধা পাচ্ছেন না। লাদাখ, মিজোরাম, লাক্ষাদ্বীপ, কাশ্মীর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচলপ্রদেশ, পাঞ্জাব, মণিপুরের জনসংখ্যার নিরিখে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। আর সেই কারণেই সেখানে হিন্দুদের সংখ্যালঘু হিসেবে সুবিধা পাওয়া উচিত। অথচ তারা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত, কারণ সেই রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠকে সেই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

একাধিক আবেদনকারী দাবি করেছেন, ভাষাগত ধর্মের ভিত্তিতে রাজ্য অনুযায়ী সংখ্যালঘুদের মর্যাদা দেওয়া উচিত অর্থাৎ এটি রাজ্যভিত্তিক বিবেচনা করা উচিত। সুপ্রিম কোর্ট এমন নির্দেশ দিন যাতে সংখ্যালঘুদের মর্যাদা ভাষা ও ধর্মের ভিত্তিতে রাজ্য পর্যায়ের হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *