আমাদের ভারত, ৫ জুলাই: জল্পনা ছিল রাজভবনের নির্দেশ অমান্য করে শুক্রবার শপথ নিয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। তার কিছুক্ষণ পরেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে টুইট করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে পরিষ্কার জানালে এই শপদ গ্রহণ অসাংবিধানিক। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রপতির কাছে এই শপথ নিয়ে রিপোর্ট পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজে কয়েকটি প্রশ্ন লিখে তার উত্তর আবার নিজেই দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি বিধানসভার রুল মেনে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন। কিন্তু রাজ্যপালের বক্তব্য, রুল, কখনোই সংবিধানের ঊর্ধ্বে হতে পারে না। তাঁর কথায়, রাজ্যপালের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে এখানে।
৪ জুন ভগবানগোলা ও বরাহনগর বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়। একমাস কেটে গেলেও রাজ্য সরকার ও রাজভবনের টানাপোড়নের কারণে শপথ নেওয়া হয়নি জয়ী তৃণমূলের দুই প্রার্থীর। শেষে রাজ্যপাল নির্দেশ দেন ডেপুটি স্পিকার আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পাঠ করানোর। তবে তিনি বলে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি শপথ বাক্য পাঠ করাতে পারবেন না। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার বলেন, অধ্যক্ষ থাকতে আমি শপথ বাক্য পাঠ করাতে পারি না এই ধৃষ্টতা আমার নেই। এরপরেই রাজ্যপাল বোসের নির্দেশ অমান্য করে কার্যত সায়ন্তিকা ও রেয়াতের শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার। কিন্তু এর প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট দিয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি পাঠানো প্রসঙ্গে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। এত জটিলতার দরকার ছিল না। আমরা চেয়েছিলাম বিধানসভায় শপথ বাক্য পাঠ করানো হোক।
অপরদিকে রেয়াত হোসেন বলেছেন, উনি চিঠি পাঠাতেই পারেন। বিষয়টি স্পিকার দেখবেন। রাজ্যপালের সোশ্যাল মিডিয়ার মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ায় আমি খুশি। আমরা আগেই রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছিলাম। রাজ্যপালের কোনো কথার জবাব আমি দেব না। উনার কোনো ক্ষমতা নেই স্পিকারকে অপসারণ করার।