আমাদের ভারত, মালদা, ৩ সেপ্টেম্বর: রায়গঞ্জে বিজেপি কর্মী মৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি পুলিশকে দায়ী করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, পুলিশ তাঁকে থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে, গুলি করে খুন করেছে। তিনি মৃতদেহের ফের ময়না তদন্তের দাবি করেছেন।
গতকাল উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। তাঁর নাম অনুপ রায়। ইটাহারের নন্দনগ্রামের বাসিন্দা অনুপ রায় মাস ছয়েক হল সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ তাঁকে পুরোনো একটি ছিনতাইয়ের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর অনুপ রায় অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যারাতে মৃত্যু হয় তাঁর। বিজেপি কর্মী অনুপ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ তড়িঘড়ি রাতেই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সেরে ফেলে।
এই ঘটনায় বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, ইটাহারে আমাদের এক কার্যকর্তাকে পুলিশ পিটিয়ে গুলি করে মেরেছে। আজকে আন্দোলন চলছে। আমরা পুনরায় ময়না তদন্তের দাবি করছি। অনক্যামেরা পোস্টমর্টেম ও কলকাতায় পোস্টমর্টেম এর দাবি করছি। দোষী পুলিশ অফিসারদের গ্রেপ্তারের দাবি করছি। এটাই পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা। এই নিয়ে ১১০ জন কার্যকর্তাকে আমরা হারালাম। আমি আগামীকাল রায়গঞ্জে যাচ্ছি। সেখান থেকে ভবিষ্যতের আন্দোলন শুরু করব। মালদায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে উত্তর দিনাজপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
এদিন ইংলিশবাজার শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন তিনি। তার সাথে ছিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির কর্মসূচি চলাকালীন রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, কেন্দ্রের দেওয়া চাল, ডাল খোলাবাজারে বিক্রি করছে তৃণমূল নেতারা। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে কেন্দ্রের যোজনা অনুযায়ী ফ্রিতে রেশন দেবে।
পাল্টা জেলা তৃণমূলের মুখোপাত্র শুভময় বসু বলেন, এরা কেন্দ্র–রাজ্যের সম্পর্ক বোঝে না। দেশের মধ্যে বাংলায় প্রকল্পের কাজ বেশী হয়েছে। করোনা আবহে রেশন বিনামূলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সুতরাং সায়ন্তন বসুদের পশ্চিমবঙ্গে গিমিক করে কোনও লাভ নেই।

