আমাদের ভারত, ১১ ফেব্রুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভোটমুখী ত্রিপুরার মাটিতে দাঁড়িয়ে নিশানা করলেন বাম কংগ্রেসকেই। শনিবার উত্তরপূর্বের এই রাজ্যে দুটি জনসভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। ধোলাই জেলার আমবাসার প্রথম সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাম কংগ্রেসের শাসনে ত্রিপুরাকে অন্ধকারে রেখে দিয়েছিল। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর দিল্লি ও রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকারের হাত ধরে এই রাজ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
ত্রিপুরায় এবার অনেকগুলি আসনে লড়াই করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তৃণমূলকে কোনো আমল দিচ্ছে না বিজেপি। যেহেতু এখানে তৃণমূল সরকার চালায়নি তাই বিজেপি মূলত নিশানা করেছে আগের দুই শাসক দল কংগ্রেস ও সিপিএমকে।
২০১৮-তে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে টানা ২৫ বছর ক্ষমতায় ছিল সিপিএমে নেতৃত্বাধীন সরকার। এবার কংগ্রেস ও বামেরা জোট বেঁধে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নেমেছে। তবে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে সিপিএমকেই নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিপিএমের জমানায় থানা চালাত সিপিএম। রাজ্যে চাঁদাবাজির তাণ্ডবে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।
তিনি বলেন, ত্রিপুরায় মানুষের সঙ্গে সিপিএম কংগ্রেস বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অবদান তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত গ্রামীণ আবাস যোজনা সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ত্রিপুরাবাসীর জন্য চিকিৎসার নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। সরকারি প্রকল্পে রাজ্যে তৈরি হয়েছে ৩ লাখ পাকা বাড়ি।
ত্রিপুরার ভুল বদলের খতিয়ান তুলে ধরতে গিয়ে হীরা শব্দটি ব্যবহার করেন প্রধানমন্ত্রী। ইংরেজি বানান ধরে এইচ ফর হাইওয়ে, আই ফর ইন্টারনেট, আর ফর রোডওয়ে, এ ফর এয়ারওয়েজ। এই চারটি জিনিসের উপর ভর করে ত্রিপুরা বদলে গিয়েছে বলে দাবি মোদীর।
বামেদের ২৫ বছরের জমানাকে চাঁদার জামানা বলে কটাক্ষ করেছেন মোদী। তিনি বলেছেন, বাম সরকার সবকিছুতে জনগণের কাছ থেকে চাঁদা তুলত। বাম আমলে শুধু দলীয় সমর্থকদের জন্য উন্নতি হতো। অন্যদিকে বিজেপি সকলের উন্নয়নের কথা ভাবে। ত্রিপুরাবাসীকে সাবধান করে তিনি বলেন, জনগণের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত দুই দল আবার হাত মিলিয়েছে। মনে রাখবেন ওদেরকে ভোট দেওয়া মানে ত্রিপুরাকে আবার পিছিয়ে দেওয়া। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, কেরলে যে দল কুস্তি করছে ত্রিপুরায় সেই দলের মধ্যে দোস্তি রয়েছে।