আমাদের ভারত, পূর্বমেদিনীপুর, 29 জানুয়ারি: একান্নবর্তী পরিবার থাকলে বৃদ্ধাশ্রমের মত কোনও আশ্রম সৃষ্টি হতো না। এই থিমকে সামনে রেখে সরস্বতী পুজোর মণ্ডপ সাজিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পঁচেট ডি’লাইট ক্লাবের সদস্যরা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার পঁচেটগড় এলাকার পঁচেট ডি’লাইট ক্লাবের এবারের থিম বৃদ্ধাশ্রম। কিভাবে একজন মা তার সন্তানকে দশ মাস ধরে নিজের গর্ভে ধারণ করার পর বহু কষ্ট ও যন্ত্রণার মধ্যে বড় করে এবং বহু বাধা-বিপত্তি মধ্যে সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করে তোলার পর সেই মায়ের কি দশা হয় তা তুলে ধরা হয়েছে পুরো মন্ডপে। প্রতিষ্ঠিত সন্তান নিজের স্ত্রী, পুত্র এবং কর্মজীবন নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকে যে নিজের বাবা-মাকে বিন্দুমাত্র সময় দিতে পারে না। তাদের সংসারের বাড়তি বোঝা মনে করে। খারাপ আচরণ করে। শেষ পর্যন্ত সন্তানরা তাদের সমস্ত দায়বদ্ধতা এড়িয়ে তার বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়। একান্নবর্তী পরিবার হলে একসঙ্গে অনেকে থাকতেন। তখন আর ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের প্রতি অবহেলা অবমাননার সুযোগ পেতোনা। একান্নবর্তী পরিবার থাকলে বৃদ্ধাশ্রম এর মত কোন আশ্রম সৃষ্টি হতো না। এই ভাবনা থেকে মন্ডপ ও ২৭ কেজি ওজনের রূপা দিয়ে তৈরী প্রতিমা এবার পঁচেট ডি’লাইট ক্লাবের সার্ব্বজনীন শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজার মূল আকর্ষণ।
১৪ তম বর্ষের এই পুজোর মন্ডপ নিজেদের হাতে তৈরী করেছেন ক্লাবের ২৫ জন সদস্য। গত তিন মাস ধরে নিজেদের হাতে বৃদ্ধাশ্রমের জীবন যন্ত্রণা ফুটিয়ে তোলার মধ্যদিয়ে সমাজকে একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছ পঁচেট ডি’লাইট ক্লাব।