জয়দেব লাহা, দুর্গাপুর, ১ সেপ্টেম্বর: রাতের অন্ধকারে পাঁচিল টপকে, তার কাঁটা কেটে চন্দন গাছ চুরি। বুধবার গভীর রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বুদবুদের মানকর কলেজে।
ঘটনায় জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে মানকর কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ওইসময় বহু মূল্যবান গাছ কলেজ চত্ত্বরে লাগানো হয়। ওই কলেজের অ্যাকাডেমি ভবনের পাশে ১৯৮৮ সালে দুটি রক্ত চন্দনের গাছ লাগানো হয়েছিল। বর্তমানে বছর ৩৪’এর ওই গাছ দুটি পরিপূর্ণ গাছের রূপ নিয়েছিল। যার বাজার মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকার বলে অনুমান কলেজ কর্তৃপক্ষের। ওই কলেজে অনেক মূল্যবান গাছ রয়েছে৷ ওইসব গাছ কলেজের সম্পত্তি। কলেজের নিরাপত্তার জন্য ৭ ফুট উচ্চতায় দীর্ঘ পাঁচিল রয়েছে৷ ওই পাঁচিলের ওপর তারকাঁটা দেওয়া। এছাড়াও একজন নৈশ্যপ্রহরী থাকেন। পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে কলেজের অ্যাকাডেমি ভবন চত্বরে। সম্প্রতি সাবলম্বী হওয়া চন্দন গাছগুলি নজরে পড়ে দুষ্কৃতীদের।

কলেজ সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার কলেজের সদর গেটের তালা ভাঙ্গা নজরে পড়ে। তারপর নজরে পড়ে ভেতরে চন্দনগাছ দুটি উধাও। গোড়ার অংশ সুন্দরভাবে আধুনিক মেশিন করাতে কাটা হয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে কয়েকটা টুকরো ডালপালা পড়ে। প্রায় ৩৪ বছরের পুরোনো গাছদুটির আনুমানিক মূল্য লক্ষাধিক টাকা।
খবর চাউর হতেই কলেজের অধ্যাপক ও স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসে। পরে নজরে পড়ে কলেজের পিছনে অর্থাৎ খেলার মাঠের দিকে পাঁচিলের কিছুটা তারকাঁটা কাটা পড়ে। কলেজে সিসিটিভি ছাড়াও নৈশ্যপ্রহরীর ব্যবস্থা আছে। সিসিটিভিতে স্পষ্ট কারও ছবি না আসলেও, রাত ১২ টা ১০ মিনিট নাগাদ চারজন দুষ্কৃতী ভেতরে ঢুকেছিল। ১২-২৫ মিনিটে অ্যাকাডেমি ভবনের সদর গেটের তালা ভেঙ্গে চম্পট দিয়েছে। ১৫ মিনিটের মধ্যে গাছগুলি চুরি করে চম্পট দিয়েছে। প্রশ্ন, নৈশ্যপ্রহরী থাকা স্বত্ত্বেও কিভাবে গাছ কেটে চুরি করে পালালো দুষ্কৃতীরা?
কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ সুকান্ত ভট্টাচার্য জানান, “ঘটনা ঘটার সময় নিরাপত্তারক্ষী কোনও কিছু টের পাইনি বলে জানিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে চারজন দুষ্কৃতী’কে দেখা গিয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে।”
যদিও এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বুদবুদ থানার পুলিশ। কলেজের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

