জেহাদিদের মোকাবিলা করতে হিন্দু মেয়েদের হাতব্যাগে চিরুনি লিপস্টিকের বদলে ছুরি রাখা জরুরি, পরামর্শ সাধ্বী প্রাচীর

আমাদের ভারত, ১৭ ফেব্রুয়ারি: মুসলিম জেহাদিদের মোকাবিলায় তরুণীদের পার্সে ছুড়ি রাখার পরামর্শ দিয়ে নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেত্রী সাধ্বী প্রাচী। তাঁর পরামর্শ আজকের দিনে হিন্দু মেয়েদের হাতব্যাগে চিরুনি, লিপস্টিকের বদলে ছুরি রাখা জরুরি, যাতে জেহাদীরা কাছে এলে মোকাবিলা করতে পারেন।

মধ্যপ্রদেশের রতনামে বেড়াতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সাধ্বী প্রাচী। তিনি জানান, হিন্দু মেয়েদের উচিত নিজেদের হাতব্যাগে ছুরি রাখা। চিরুনি কিংবা লিপস্টিক নয়। প্রত্যেক হিন্দু মেয়েদেরই কাটার ব্যবহার করা উচিত, যাতে জেহাদীদের সহজে রুখে দিতে পারে। তাঁর দাবি, মুসলিমরাও নিজেদের ধর্ম পালনে এসব সঙ্গে রাখে।

সম্প্রতি দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকার, নিকি যাদবের মতো তরুণীদের হত্যাকান্ড নিয়ে ব্যাপক চর্চা চলছে। দুই তরুণীকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তাদের লিভ ইন পার্টনাররা। সেই সব ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাধ্বীর বক্তব্য, মুসলিমদের মতো গোড়ামী হিন্দুদের থাকা উচিত। কোনো জেহাদি যদি আপনার মুন্ডু কাটতে আসে তাহলে আপনি ছুরিতে তার গলা কেটে দিন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ভারত হিন্দুরাষ্ট্র ছিল ও তাই থাকবে। যারা এসব নিয়ে বলছে তারা হিন্দুত্বের এ- বি-সি-ডি জানে না।

প্রসঙ্গত, এর আগে রবিবার একটি অনুষ্ঠানে মৌলানা আরশাদ মাদানি বলেছিলেন, রাম, ব্রহ্মা বা শিব বলে কিছু নেই। মনু যে কিনা আদম এক ওমের উপাসনা করতেন সেই ওমই হলেন আল্লাহ। তার এই মন্তব্যে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। সেই মন্তব্য প্রসঙ্গে জৈন ধর্মের প্রচারক আচার্য লোকেশ মুনি বলেছিলেন, আমরা কেবল সম্প্রীতিতে জীবন যাপনে একমত। কিন্তু ওম, আল্লাহ এবং মনু সম্পর্কিত এই সমস্ত গল্পই আবর্জনা। তিনি অভিযোগ করেন, মাদানি পরিবেশ নষ্ট করছেন এইসব বলে। তাঁর এই মন্তব্যের প্রশংসা করেন সাধ্বী প্রাচী। তিনি বলেন, জৈনমুনি যা বলেছেন তা প্রশংসনীয়। দেশে এমন সাধকের দরকার। এরপরই মাদানির উদ্দেশ্যে প্রাচীর হুমকি, “মাদানি আমার কথা পরিষ্কার করে শুনে রাখুন, ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়েছিল। আর এটা ঘটেছে মাদানির মতো লোকেদের কারণে। তারা বলেছিল যে, তারা হিন্দুদের সাথে থাকবে না। আর তখন হিন্দুরা বহু ত্যাগের পর হিন্দুস্তান পায়। মাদানি শান্ত হও এবং শোনো হিন্দুস্তান হিন্দু রাষ্ট্র ছিল, আছে এবং থাকবে। তুমি গিয়ে তোমার কাগজপত্র খুঁজে বের করো।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *