আমাদের ভারত, বারুইপুর, ২৮ অক্টোবর: স্ত্রীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে পলাতক স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানা এলাকার শিখরবালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দ্রপালার উত্তর মনসাতলা এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানাগেছে, উত্তর মনসাতলার বাসিন্দা রবীন মন্ডলের সাথে ২০ বছর আগে বিয়ে হয় ইন্দ্রপালারই বাসিন্দা অঞ্জলি মণ্ডলের। প্রেম করে বিয়ে হয় তাদের। তাদের দুই পুত্র সন্তান আছে। একজনের বয়স ১৯ বছর আরেকজনের ১৪ বছর বয়স। তারা মামার বাড়িতে থাকে। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় ছেলেদেরও মারধর করত রবীন মণ্ডল। তাই তারা মামার বাড়িতে থাকত।
পুলিশ ও এলাকা সুত্রে জানা গিয়েছে রবীন মণ্ডল মদ বিক্রি করত বেআইনীভাবে। তার নামে একাধিক কেস আছে। বহুবার জেলও খাটে। মারপিটের ঘটনায় সেপ্টেম্বর মাসে ২০ তারিখ গ্রেফতার হয়। পুজোর আগে ৫ই অক্টোবর জামিন পায় রবীন। বিজয়া দশমীর দিন বুধবার শেষ অঞ্জলি দেবীকে দেখা গিয়েছিল। ঐদিনই ঝামেলা হয় দুজনের। তারপর থেকে আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কেন খুন?
স্ত্রীর কাছে মদের টাকা চাইত। তা না পেলেই স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালাত। বিজয়া দশমীর দিনও মারধর করে। ঐদিনই তাকে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক অনুমান।
কিভাবে খোঁজ মিলল – বাপের বাড়ির লোক খোঁজ না পেয়ে এই বাড়িতে এসে খোঁজ শুরু করে। বারবার রবীনকে জিজ্ঞাসা করেও হদিস পাওয়া যায়নি। তারপর আজ সকালে ছাগল রাখার ঘরে গিয়ে দেখে সেখানে মাটি খঁড়ে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। উপরে কাঠ বিছানো। বিষয়টি জানাজানি হতেই পলাতক রবীন। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
দেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হবে কিছুক্ষণের মধ্যেই। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই কাজ করা হবে। ঘটনাস্থলে এসেছেন বারুইপুর এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস, বারুইপুর থানার আইসি সৌমজিত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ।

