বনগাঁয় গুজব বাঘের আতঙ্কের, ফুটেজে এল বাঘরোল

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৩ সেপ্টেম্বর: ক্যামেরায় ধরা পড়লো বাঘরোল বিচুলির গাদার নিচ থেকে হেঁটে যাওয়ার ছবি। কিন্তু ‘বাঘ’ বেরনোর গুজবে বুধবার আতঙ্ক ছড়ালো উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর ঘাটবাওর পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকায়। লাঠিসোঁটা হাতে ভিড় জমে মঙ্গলবার রাতে। আসে পুলিশ, বন দফতরের কর্মী সহ পশুবাঁচাও কমিটির সদস্যরা।

পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পায়ের ছাপ দেখে সেটি একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘরোল বলেই জানান। আতঙ্ক বা গুজব যাতে না-ছড়ায়, সে জন্য প্রচারও করা হয়। প্রাণীটির যাতে ক্ষতি করা না হয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয় সকলকে। খাঁচা পেতে বাঘরোলটিকে ধরে বে-ঘর করতে চায়নি বন দফতর। রামচন্দ্রপুর এলাকাটি বাঁশঝাড়, বড় বড় পুকুর আর উলুবনে ঘেরা। ঝোপ-জঙ্গলও রয়েছে। রয়েছে কিছু চাষজমিও। এমন এলাকা বাঘরোলের থাকার আদর্শ জায়গা বলে জানান পশুপ্রেমী সংগঠনের অন্যতম সদস্য টুকাই বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘জনবসতি থাকায় ওরা মাঝেমধ্যে চলে আসে। পাঁচ-ছয় সেন্টিমিটার পায়ের ছাপ পেয়েছি, তাতে বাঘরোলটি অন্তত আড়াই ফুট লম্বা বলে মনে হচ্ছে। আতঙ্কের কিছু নেই। যেখানে সেখানে বাঘ বেরিয়েছে বলে প্রচার করে বাঘরোলকে পিটিয়ে মারবেন না। পশু হত্যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

সূত্রের খবর, এদিন রাতে ওই বাড়ির মেয়ে বর্ষা সানা রাতে বাইরে বেরতেই শব্দ শুনতে পায়। এরপর এদিক ওদিক টর্চ লাইট মারতেই বিচুলির গাদার নিচে বাঘের মতো পশু দেখতে পায়। এরপর পরিবারকে ডেকে দেখায়। ডাকা হয় গ্রামের লোকজনদের। বাঘ দেখতে ভিড় করে প্রচুর মানুষ। আতঙ্কে লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রস্তুত। যদিও মানুষের ভয়ে সে পাট খেতের দিকে চলে যায়। এরপর থেকে গ্রামে আতঙ্ক শুরু হয়।

যদিও পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা জানিয়েছে, আমরা মোবাইলে তোলা ছবি দেখেছি। এটা বাঘরোল। বাঘরোল এই অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। এই প্রাণী কোনো ক্ষতি করে না। এরা মাছ খেতে ভালোবাসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *