আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৪ ডিসেম্বর: সরকারি অনুষ্ঠানে তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে আমাদের জেলা সভাপতি পরিচয় দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন আরটিও। নিন্দার ঝড় জেলাজুড়ে। প্রথম দিনে বিলি ৩টি স্মার্টকার্ড। বুধবার বালুরঘাটে জেলা শাসকের দপ্তরে স্মার্টকার্ড চালু ইস্যুতে সকলের সামনে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষকে ম্যাডাম অর্থাৎ আমাদের জেলা সভাপতি বলে সম্বোধন করেন আরটিও সন্দীপ সাহা। যাকে ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা জেলাজুড়ে। এই ঘটনায় ওই সরকারি আধিকারিকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জেলা বিজেপি। সরকারি অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা নিয়ে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও।
বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার জানিয়েছেন, ওই আধিকারিকের শাস্তি হওয়া উচিত। তবে শাস্তি দেবে কে ? সরকারি আধিকারিকরাই যদি দলবাজি করে তাহলে এমন অরাজকতা চলবেই।
জেলা শাসক নিখিল নির্মল জানিয়েছেন, এই প্রথম দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় চালু করা হল স্মার্ট কার্ড। এদিন পরীক্ষামূলক ভাবে ৩ জনের হাতে ওই কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে।
কাগজ কলমে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের ঝামেলা এড়াতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় চালু করা হল স্মার্ট কার্ড। বুধবার উত্তরবঙ্গে এই প্রথম বালুরঘাটে আনুষ্ঠানিক ভাবে ডিজিটাল কার্ডের সূচনা করেন জেলা শাসক নিখিল নির্মল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক সন্দীপ সাহা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের ভাইস চেয়ারম্যান অর্পিতা ঘোষ সহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, মেট্রোর স্মার্ট কার্ড বা এটিএম কার্ডের মতোই এবার থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ি রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে থাকবে কিউ আর কোড সম্পন্ন মাইক্রোচিপ। নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন ফিচার সম্পন্ন ওই কার্ডের মাধ্যমে ট্র্যাফিক পুলিশ তাঁদের সঙ্গে থাকা ডিভাইসে সোয়াইপ করে সহজেই ওই কার্ডের সব তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। কোনও চালক তাঁর মৃত্যুর পরে অঙ্গদানে সম্মত কিনা, তাও উল্লেখ থাকবে স্মার্ট ওই ড্রাইভিং লাইসেন্সে। যাতে দুর্ঘটনায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হলে সহজেই তাঁর অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য গ্রহণ করা যায়। পুরনোদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউয়াল করানোর সময় নতুন স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হবে। এর জন্য কার্ড পিছু অতিরিক্ত কিছু টাকা খরচ হবে বলেও জানানো হয়েছে।
যুব কংগ্রেস সহ সভাপতি সুমিত দত্ত জানিয়েছেন, রাজ্য জুড়েই দলতন্ত্র কায়েম হয়েছে। যে কারণেই সরকারি কাজ কি তা ভুলে গেছেন আধিকারিকরা।
আরএসপির যুব নেতা সরোজ কুণ্ডু বলেন, দলের হয়ে কাজ করতে করতে সরকারি আধিকারিকরা ভুলে গেছেন কখন কি বলতে হয়।