আমাদের ভারত, ২৭ আগস্ট: ভারতে বড়সড় নাশকতার ছক আইএসআইয়ের। তাদের নিশানায় একাধারে যেমন রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদর দপ্তর। অন্যদিকে রয়েছে গণেশ পুজোর মন্ডপ।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বড়সড় হামলার ছক রয়েছে নাগপুরের আরএসএস সদর দপ্তরে। এছাড়াও ধর্মীয় স্থান এবং বড় গণেশ পুজো মণ্ডপ গুলিও আইএসআই- এর লক্ষ্য বলে সতর্ক করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
সূত্রের খবর, আই এস আই ভারতের আরএসএস সদর দপ্তর নাগপুরকে নিশানা করেছে। আবার মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানায় আর এস এস দপ্তর গুলিকেও টার্গেট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মন্দির, পাবলিক প্লেস, গণেশ মন্ডপগুলিতে একাধিকবার তল্লাশি করা হচ্ছে। ড্রোন, সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি চালানো হচ্ছে।
আজ থেকে গণেশ চতুর্থী শুরু। মুম্বাইজুড়ে ধুমধাম করে পালন হচ্ছে গণেশ চতুর্থী। সেখানে বিপুল জনসমাগম হয় এই উৎসব উপলক্ষে। আর সেই সময় নাশকতার ছক করেছে আইএসআই। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির দাবি, এই মিশনের জৈন- ই- মহম্মদ, লস্কর- ই- তৈবা, এ কিউ আই এসের মত সন্ত্রাসী সংগঠন গুলিকে সক্রিয় করা হয়েছে।
গণেশ চতুর্থীতে বড় বড় মণ্ডপেও হামলার ছক রয়েছে। উৎসবের দিনগুলিকে নিশানা করা হতে পারে, যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। মুম্বাইতে ১৭ হাজারেরও বেশি পুলিশ, ড্রোন, সিসি ক্যামেরা, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল মোতায়েন করা হয়েছে।
অপারেশন সিঁদুরের পর দেখা গিয়েছিল আইএসআই জৈন, লস্কর- ই- তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আর্থিক মদত দিচ্ছিল। বিশেষ করে মাসুদ আজাহারের পরিবারের জন্য মাইক্রো ফান্ডিং করে মদত দেওয়া হয়েছে। কোটি কোটি টাকা যোগাচ্ছে তারা জঙ্গিদের। বিদেশে তুরস্ক, পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আর্থিক মদত পাচ্ছে তারা। জঙ্গি প্রশিক্ষণের লঞ্চপ্যাড তৈরি করে ফেলেছে। আর এসব কিছু থেকেই গোয়েন্দাদের সন্দেহ যে ভারতে আবার নাশকতার ছক কষা হচ্ছে।
উৎসবের মরসুমে মহারাষ্ট্রের বড়সড় হামলার ছক কষা হয়েছে। গোয়েন্দারা ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করেছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।