আমাদের ভারত, ১৯ নভেম্বর:মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরোলেই ২ হাজার টাকা জরিমানা করার নির্দেশ জারি করল দিল্লি সরকার। রাজধানী দিল্লিতে ক্রমেই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। অক্টোবর থেকেই দৈনিক সংক্রমণ ৭-৮ হাজার হয়েছে রাজধানীতে। তাই এবার করোনা মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ নিল কেজরিওয়াল সরকার।
এর আগে বিনা মাস্কে রাস্তায় বেরিয়ে ধরা পড়লে জরিমানা ছিল ৫০০ টাকা। এবার তা অনেকটাই বাড়ানো হলো। দিল্লিতে ক্রমেই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে ফলে তা ঠেকাতে আবারও সর্বদল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনায় দিল্লি হাইকোর্ট কেজরিওয়াল সরকারকে তিরস্কার করে।
আদালত বলেছে, দিল্লিতে ক্রমাগত করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাই নিয়ে রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করার পর তারা তৎপর হয়েছে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে। এর আগে তারা কি করছিল? বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি সংখ্যা ২০০ থেকে ৫০ কমাতে কেন এত দেরি করা হয়েছে?
একইসঙ্গে মাস্ক ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোনো লোকেদের জরিমানার অর্থের বিষয়ে আদালত মন্তব্য করেছে। হাইকোর্ট জানায় যে জরিমানা হিসেবে যে পরিমাণ অর্থ নেওয়া হচ্ছে তা এখনো কম।
৬ নভেম্বর হাইকোর্ট বলেছিল ক্রমবর্ধমান এই সংক্রমন ঠেকাতে রাজ্য সরকার কোন কোন পদক্ষেপ নিয়েছে তার একটি স্টেটাস রিপোর্ট হাইকোর্টে দাখিল করুক। এরপরই দিল্লি সরকার হাইকোর্টকে জানায় তারা বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি সংখ্যা ২০০ থেকে কমিয়ে ৫০ করেছে। আর তাতেই আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রশ্ন করেন কেন ১৮ দিন অপেক্ষা করছিলেন তারা? কেন এই পদক্ষেপ আগে নেওয়া হয়নি?
স্বাস্থ্য দপ্তরে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লিতে করোনায় ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৭৪৮৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬৯০১। দিল্লিতে মোট আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৮৪ জন। স্বাস্থ্য বিভাগে তথ্য অনুসারে বর্তমানে দিল্লিতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার ৪৫৮। দিল্লিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৯৩৩ জন।
এদিকে দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেন, দিল্লিতে পর্যাপ্ত মাত্রায় টেস্টিং হচ্ছে না। দিল্লির করোনা পরিস্থিতির ওপর কেজরিওয়াল সরকার ঠিকমত নজর দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানান দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেজরিওয়াল সরকারকে কেন্দ্রে পর্যাপ্ত অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। ওই টাকা কোথায় কিভাবে খরচ হয়েছে সেই হিসেবে কেজরিওয়াল সরকার দেখাতে পারলে কেন্দ্রের তরফে প্রয়োজনে আরো সাহায্য করা হবে। সমস্ত রকম জরুরি সাহায্য কেন্দ্রের তরফে কারা হবে দিল্লিতে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এমসের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।