স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১৪ নভেম্বর: পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহার থানার অন্তর্গত ভদ্রশিলা গ্রামের ধান খেতের মাঝে। সকালে এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের ধান জমি থেকে ধান কাটতে গেলে পঁচা গন্ধ পায়। তারা দেখে ধানের জমিতে বিদ্যুতের খুঁটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলেও পঁচাগলা অবস্থায় এক মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। তা দেখে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় ওই এলাকায়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই বহু সাধারণ মানুষ ভিড় জমায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইটাহার থানার পুলিশ। যদিও দেখতে আসা সাধারণ মানুষের অনুমান, হয় খুন না হলে বিদ্যুতের খুঁটিতে ফাঁসি দিয়েছে যা কঙ্কাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
ফাঁকা মাঠে পচাগলা দেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পরতেই পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দারা ভিড় জমায় সেখসনে। এলাকার বাসিন্দা সূত্রে জানাগেছে, মৃতদেহটি ইটাহার থানার সুলিয়াপাড়ার পাহানপাড়ার বাসিন্দা গণেশ পাহানের (৪৫)। হতে পারে, বেশ কিছু দিন ধরেই নিখোঁজ রয়েছেন গণেশ পাহান। তার এক আত্বীয় প্রাথমিক ভাবে দেহটি গণেশ পাহানের দেহ বলেই চিহ্নিত করছে। তবে ইটাহার থানার পুলিশ কিছু না বললেও দেহটি গণেশ পাহানের দেহ বলেই অনুমান করছে।
এদিন ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে দূর গ্রাম থেকে ছুটে আসে মৃতের দিদি সুরবা পাহান। তিনি বলেন, এক ভাই কার্তিক ভিন রাজ্যে কাজ করে। তার ফোন পেয়ে বাবার বাড়িতে এসেছি শুনতে পেয়েছি ভাই গণেশের মৃত্যু হয়েছে। কি করে এই ঘটনা ঘটেছে তা বুঝতে পারছেন না তিনি। মৃত গণেশ পাহানের একাধিক কৃষি জমি ও একটি ট্রাক্টর রয়েছে। যে এলাকায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সেই এলাকাতেও কৃষি জমি রয়েছে গণেশের। তবে পাহান পাড়ার একটি ছোট্ট ঘরে একাই থাকতেন গণেশ। নিজের স্ত্রী সন্তান না থাকলেও, এক ভাই কার্তিক পাহান, দিদি সুরবা পাহান সহ আত্মীয় স্বজনরারা গ্রামে থাকতো। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ না হলেও অভিযোগ করা হবে বলে আত্বীয়ের দাবি। কিভাবে ঘটনাটি ঘটলো তা খতিয়ে দেখছে ইটাহার থানার পুলিশ।