স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১৫ ফেব্রুয়ারি: এ যেন দুর্নীতির আঁতুর ঘর। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে চলছিল স্কুলের ঘরের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ। মানুষ টের পেতেই কাজ বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদ করতে শুরু করে। অভিযোগ, নিম্নমানের বালি ও পাথর দিয়ে চলছিল ঢালাইয়ের কাজ। তারই প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। তবে এলাকার মানুষের সাথে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষিকারাও।
জানা যায়, এদিন নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর পঞ্চায়েতের হরিপুর গার্লস প্রাইমারি স্কুলের একটি ঘরের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। এলাকার মানুষ লক্ষ্য করে বালি খুবই নিম্নমানের, তাছাড়াও ঢালাইয়ের ক্ষেত্রে যে পাথর ব্যবহার করা হয় সেই পাথর না ব্যবহার করে একদমই নিম্নমানের পাথর দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়। তখনই বাধা দেয় এলাকার মানুষ। যদিও এলাকার মানুষ কন্ট্রাক্টরকে প্রশ্ন করলে দায় এড়িয়ে যান। সম্পূর্ণ বিডিও’র ঘাড়ে দোষ চাপান তিনি। তাকে এই ভাবেই কন্ট্রাক্ট দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কন্ট্রাক্টরের। এলাকার মানুষের দাবি, এখন যদি নিম্নমানের বালি ও পাথর দিয়ে ঢালাই করা হয় তাহলে কয়েক বছরের মধ্যেই তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। আর তাতে করে যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এলাকার মানুষের সাথে একই সুরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওই স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষিকারাও। তবে এলাকার মানুষের একটাই দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত পরিপূর্ণ জিনিস দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ঢালাইয়ের কাজ।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা কন্ট্রাক্টরকে প্রশ্ন করলে কথা জড়িয়ে যায় তার মুখে। সংবাদ মাধ্যমের সামনেই এলাকার মানুষ কন্ট্রাক্টরকে ঘিরে ক্ষোভ উগড়ে দেয়। তাহলে কি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঢালাইয়ের কাজের পেছনে যে দুর্নীতি, তাতে কি হাত একমাত্র কন্ট্রাক্টর, নাকি হাত রয়েছে প্রশাসনের উপরমহলের, এই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।