আমাদের ভারত, কোচবিহার, ৪আগস্ট: ১৯৮৮ সালের ৪ঠা আগস্ট পুলিশের গুলিতে কোচবিহারের রাজপথে মৃত্যু হয়েছিল তিন যুব কংগ্রেস কর্মী রবীন্দ্র নারায়ণ চন্দ, বিমান দাস ও হায়দার আলী। তাদের স্মরনে প্রতি বছর কোচবিহারে শহিদ দিবস পালন তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবছর এই শহিদ দিবস পালনকে কেন্দ্র করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্টি দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে দেখাই গেল না জেলা সভাপতি পার্থ প্রতীম রায়কে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সহ সভাপতি রবীন্দ্র নাথ ঘোষের অনুগামীরা। জেলা সভাপতিকে বাদ দিয়ে জেলা পার্টি অফিসের কর্মসূচি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে দলের নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে। যদিও এই নিয়ে বিশেষ কিছু মন্তব্য করতে চাননি রবীন্দ্র নাথ ঘোষ কিংবা পার্থ প্রতিম রায়।
কোচবিহারের তৃণমূলের রাজনীতিতে সম্প্রতি কালে রবীন্দ্র নাথ ঘোষ ও জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সম্প্রতি ২১ শে জুলাইয়ের শহিদ দিবসে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস অফিসে রবীন্দ্র নাথ ঘোষ পৌছনোর আগেই সেখানে পতাকা তুলে দেন পার্থ প্রতিম রায়। এর পরে রবীন্দ্র নাথ ঘোষ সেই পতাকা খুলে আবার নতুন করে উত্তলন করেন দলের পতাকা। সেই অনৈক্যের ছবি আবার প্রকশ্যে এল ৪ ঠা আগস্টের শহিদ দিবসে।
কোচবিহারে জেলা তৃণমূল অফিসে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হলেও সেখানে ডাকাই হয়নি জেলা সভাপতিকে। যদিও এই নিয়ে রবীন্দ্র নাথ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সবাইকেই ডাকা হয়েছে, কে এল আর কে এল না বলতে পারবনা।”
অন্যদিকে পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “আগে দুই জায়গায় শহিদ দিবস পালন হত, এবার জেলা পার্টি অফিসে নতুন করে হচ্ছে, এটা ভাল কথা, কারন যত বেশি করে আমরা শহিদদের স্মরণ করব তত বেশি তাদের থেকে অনুপ্রানিত হব।”