আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২৭ ফেব্রুয়ারি: ভাঙড়ের পর বারুইপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা। নিরাপত্তা রক্ষীকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর। বুধবার রাত একটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুর থানার অন্তর্গত চম্পাহাটি মেইন রোড এলাকায়।
স্থানীয় একটি সোনার দোকানের একাধিক তালা ভাঙ্গলেও শেষ পর্যন্ত দোকানের মধ্যে ঢুকতে পারেনি ডাকাত দলটি। পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র কুড়ি মিটার দূরত্বে ডাকাতির চেষ্টায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত এলাকার ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
দুদিন আগেই ভাঙড়ের সোনাপট্টিতে ডাকাতি করতে আসে একটি ডাকাত দল। সেই সময় ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় এক নিরাপত্তা রক্ষীর মৃত্যু হয়েছিল ডাকাতদের হাতে। সেই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ। ঘটনার পর এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই আবার সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা। এবার বারুইপুর থানার চম্পাহাটিতে ডাকাতির চেষ্টা চালাল একদল ডাকাত দল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাত্রি একটা নাগাদ ছয় সাত সদস্যের একটি ডাকাত দল চম্পাহাটি মেন রোডে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড় হয়। সেখানে কর্তব্যরত এক নিরাপত্তা রক্ষীকে দুজন মিলে মুখ চাপা দিয়ে তুলে নিয়ে যায় পাশের গলিতে। নিরাপত্তা রক্ষীর মুখের ভিতর বন্দুকের নল ঢুকিয়ে দিয়ে প্রানে মারার হুমকি দেয়। ডাকাত দলের বাকি সদস্যরা দোকানের গ্রিলের তালা ভাঙ্গার কাজ শুরু করে। কিন্তু সেই সময় রাস্তা দিয়ে পুলিশের টহলদারি ভ্যান যেতে দেখে পালিয়ে যায় ডাকাত দলটি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দোকানের মালিক সৌমিত্র ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করি, কিন্তু আমাদেরই কোনও নিরাপত্তা নেই। কপাল ভালো ছিল বলে এযাত্রায় ডাকাতির হাত থেকে বেঁচে গেলাম”। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।