সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৪ ডিসেম্বর: ভোট এলেই শাসক দলের একরাশ প্রতিশ্রুতি। প্রত্যেক মিটিং মিছিলে নেতারা উন্নয়নের ঝড় তুলে দিচ্ছে। ভোট বৈতরণী পার হলেই সেই গ্রামে দেখা মেলে না নেতাদের। তাই “আগে রাস্তা পরে ভোট” এমনই স্লোগান দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার সিন্দ্রানী পঞ্চায়েত এলাকার বগুলা গ্রামের কয়েকশো মহিলা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বাগদা দত্তফুলিয়া রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। গ্রামে গ্রামে ঢুকে নেতারা প্রচার শুরু করে দিয়েছে। এলাকার উন্নয়ন মূল হাতিয়ার শাসক দলের। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে বারবার গ্রামের রাস্তা ঘাট উন্নায়নের কথা শোনা যায়। ভোট এলে নেতাদের প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়। ভোট পেরিয়ে গেলে ফিরেও তাকান না সেই সব নেতারা। অথচ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাগদা ব্লকের সিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বগুলা গ্রামের অবস্থা ১০ বছর আগেও যা ছিল আজও তাই আছে।
সিন্দ্রানী থেকে বগুলা গ্রামে যাওয়ার মাত্র চার কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। খানাখন্দে ভরা। ফলে দিনের বেলায় মোটর ভ্যান ও অটো চলাচল করলেও সন্ধ্যায় ওই রাস্তায় গাড়ি চালাতে চান না কেউ। ফলে সমস্যায় পড়েন এলাকাবাসীরা। এই রাস্তাটি সারাইয়ের দাবিতে বেশ কয়েকবার অবরোধ করে গ্রামবাসী। পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভও দেখানো হয়। প্রশাসনিক কর্তারা কথা দিয়েছিলেন, কিন্তু তারপরেও রাস্তার কোনও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে পাকা রাস্তার দাবিতে সরব হয়ে সিন্দ্রানী বাজারে অবরোধ শুরু করে গ্রামের মহিলারা।
“আগে রাস্তা পরে ভোট” এই স্লোগানকে সামনে রেখেই অবরোধ শুরু করেছে আন্দোলনকারীরা। গ্রামবাসীদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাস্তা নিয়ে কোনো সদুত্তর পাচ্ছে ততক্ষণ তাদের এই অবরোধ চলবে।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধান সৌমেন ঘোষ অভিযোগ স্বীকার করে বিজেপির উপরে দায় চাপিয়েছেন। তিনি বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসায় এলাকায় কোনো কাজ হয়নি। অথচ ওই এলাকার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিত দাস যিনি এখন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।