তিন বছর ধরে বেহাল রাস্তা দিয়ে ঝুঁকির যাতায়াত, প্রতিবাদে গোবরডাঙায় বিক্ষোভ

আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৩ নভেম্বর: নিম্নমানের মালপত্র দিয়ে রাস্তা তৈরিতে বাধা দিয়েছিল গ্রামবাসীরা। তারপর দীর্ঘ ছ’মাসেও সেই রাস্তা নতুন করে আর মেরামতি শুরু হয়নি। প্রায় তিন বছর ধরে বেহাল রাস্তার উপর দিয়েই তাই নিত্যযাত্রীদের ও এলাকাবাসীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। প্রতিবাদে আজ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ গোবরডাঙার পায়রাগাছি এলাকায়।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের অধীন ‘বাংলার গ্রামীণ সড়ক যোজনা’র প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে গোবরডাঙা থানার অন্তর্গত পায়রাগাছি বাজার থেকে সলুয়া মুসলিমপাড়া পর্যন্ত। কয়েক জায়গায় দায়সারা মেরামতির কাজ হলেও পায়রাগাছি বাজার থেকে সংহতি স্টেশনে যাওয়ার প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। গত তিন বছরে রাস্তা মেরামত হয়নি। ছয় মাস আগে রাস্তার কাজ শুরু করেছিল জেলা পরিষদের ঠিকাদার। কিন্তু নিম্নমানের মালপত্র, সামান্য পরিমাণ পিচের প্রলেপ দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হওয়াতে তৈরির দিন পাঁচেকের মধ্যেই রাস্তা পাথর উঠতে শুরু করে। এরপর এলাকার বাসিন্দারা মিলিতভাবে প্রতিবাদ করায় বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার কাজ। নতুন করে রাস্তার দিকে ফিরে তাকায়নি জেলা পরিষদ। রাস্তা তৈরির জিনিসপত্র রাস্তার উপরেই ফেলে রাখা হয়েছে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে।

জানা গিয়েছে ২২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬০০ টাকার টেন্ডারে পিচের রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। তবে রাস্তা মেরামত বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যায় পড়েছে বাসিন্দারা। সংহতি স্টেশনে যাওয়ার অটো, টোটো, সাইকেল, ভ্যান সমস্ত যানবাহনের যাতায়াতে সমস্যায় পড়েছে এলাকাবাসী। ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।

বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিকস্তরে কয়েক জায়গায় জানিয়ে সুরাহা মিলেনি বলে অভিযোগ। তাই সোমবার বেলা সাড়ে নটা থেকে ঘণ্টাখানেকের উপর গোবরডাঙার পায়রাগাছি বাজারে রাস্তায় বাঁশ বেঁধে হাবড়া-বসিরহাট রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার বাসিন্দারা। তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গোবরডাঙা থানার পুলিশ। গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে বিডিও সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এরপরে অবরোধ তুলে নেয় বাসিন্দারা। যদিও গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এরপরেও যদি রাস্তা মেরামতের কাজ ঠিকঠাক না হয় তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *