সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৯ সেপ্টেম্বর: মুম্বাইয়ের অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন, তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছে না অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর আদি বাড়ি পুরুলিয়ার তুনতুড়ি গ্রামের আত্মীয় পরিজনরা। গত দু’দশকের বেশি সময় ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলেও আত্মীয়রা চাইছেন তদন্তে নির্দোষ প্রমাণ হয়ে মুক্তি পান রিয়া।
চব্বিশ পঁচিশ বছর আগের কথা। তখন রিয়া এক রত্তি মেয়ে। বাবার হাত ধরে পারিবারিক দুর্গাপুজোয় আদি বাড়ি পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির তুনতুড়িতে এসেছিলেন। জমিদারি পরিবারের মেয়ে রিয়া। একসময় দেওয়ান জমিদার ও শিক্ষিত ওই পরিবারের দান করা জমিতে আজ হাই স্কুল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র হয়েছে। পরিবারের জ্ঞাতি সম্পর্কে রিয়ার কাকু শৈবাল চক্রবর্তী ও সোমনাথ চক্রবর্তী জানান, ” আদি বাড়ি হলেও তার জন্মগ্রহণ এখানে হয় নি। তার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী যেখানে কর্মরত ছিলেন সেখানেই জন্ম হয় রিয়ার। আজ ২৪-২৫ বৎসর ধরে তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। ”
কিন্তু রিয়ার কাকু ও পরিবার খুব ভালো মনের। তাই হয়তো তাঁদের কথায় সেটা জানা গেল। তাঁরা বলেন,
“রিয়া যেভাবে ফেঁসেছে মনে হয় এটা একটা চক্রান্ত।
এই বিষয়ে গ্রাম বাসি দীপক কুমার সিং দেও জানান, “আমরা গর্ব করতাম যে আমাদের গ্রামের কেউ বলিউডে গেছে। কিন্তু শুনে খুব মনে কষ্ট হল। যখন সে একটি কেসে ফেঁসে গেছে। যাই হোক সেটা তদন্তের বিষয়। তদন্তে আমাদের বিশ্বাস আছে।”
মঙ্গলবার বিকেলে সুশান্ত মামলায় ড্রাগ যোগে রিয়া গ্রেফতার হওয়ার পরই নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছে তুনতুড়ি গ্রাম।
এদিকে আজও তুনতুড়ি গ্রামে ঝোঁপঝাড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে ফিকে হয়ে যাওয়া হলদে রঙের রিয়াদের সেই দোতালা বাড়ি। দরজায় উঁই ধরেছে। মরচে ধরেছে দরজার তালায়। বাড়ি লাগোয়া তুলসি তলাতেও ঝোঁপঝাড়। রয়েছে নাটমন্দির। গ্রামের চক্রবর্তী পরিবারে সেখানে আজও দুর্গাপূজা পুজো হয়ে আসছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে এবার ৩২৩ বছরে পড়ল।
ছোট বেলায় পুজোর সময় এই বাড়িতেই উঠেছিলেন অভিনেত্রী রিয়া।