বর্বরতার বদলা! ৪০ চিনা সেনার মৃত্যু, ভাঙ্গা হয়েছে ঘাড়, বন্দি ছিল চিনা কর্নেল

আমাদের ভারত, ২১ জুন: গালওয়ান উপত্যকায় ১৫ জুন কর্নেল সন্তোষ শহীদ হওয়ার পর ভারতীয় জওয়ানরাও চিনা সেনার উপর বদলা নিয়েছিল বলেই একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি, করা হয়েছে। গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সৈনিকদের সঙ্গে যে বর্বরতা হয়েছে তার বদলা নিয়েছিল ভারতীয় সেনাও বলে। জানা গেছে, ভারতীয় সেনা ওইদিন বেশকিছু চিনা জওয়ানের ঘাড় ও শিড়দাঁড়া ভেঙ্গে দেয়। প্রায় চার ঘণ্টা উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। এমনকি চিনা সেনার এক কর্নেল স্তরের আধিকারিকেও বন্দি করে রেখেছিল ভারতীয় সেনা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিং- বলেছেন, ওই দিন ভারতের ২০ জন শহীদ হয়েছেন কিন্তু তার দ্বিগুণ সংখ্যায় মৃত্যু হয়েছে চিনা সেনার।

গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হয়েছেন। কিন্তু চিন হতাহতের কথা স্পষ্টভাবে স্বীকার না করলেও সূত্রে খবর, ওই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০-৫০ জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, টানা চার ঘন্টা দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। শনিবার প্রাক্তন সেনাপ্রধান ও বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিং দাবি করেন, সোমবার গালওয়ানের সংঘর্ষের চিনের ৪০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছে। সরকারের তরফে এই প্রথম কেউ চিনের পক্ষেও হতাহতের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করলেন। ভি কে সিং বলেন, “আমাদের যদি কুড়ি জনের মৃত্যু হয় তাহলে ওদের দ্বিগুণ সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।” আর সেই জন্যই চিনের ৪০ জনের বেশি সেনা মৃত্যুর খবর উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ভারতীয় সেনা এক চিনা কর্নেলকেও বন্দী করেছিল বলে জানা যাচ্ছে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।

দীর্ঘ ৪৫ বছরে এই প্রথম ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে এরকম উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। তবে এর আগে ১৯৬২ সালের লড়াইতেও নিজের সেনার মৃত্যুর সংখ্যা স্বীকার করেনি চিন।

অন্যদিকে গতকালই মোদী সরকার সীমান্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাকে সবরকম ছুট দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আজকেও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত, তিন সেনার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। লাদাখ সীমান্তে নজরদারি ব্যপক হারে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মুহুর্মুহু যুদ্ধ বিমান, হেলিকপ্টার নজরদারি করছে সীমান্তে। তিন সেনা প্রধান জানিয়েছেন, তারা সব পরিস্থিতির জন্য তৈরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *