আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৬ জানুয়ারি: মেদিনীপুর সদর ব্লকের চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথম পুনর্মিলন উৎসব অনুষ্ঠিত হল রবিবার। এদিন সন্ধ্যায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তথা প্রাক্তনীর সভাপতি শুভেন্দু সিনহা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাক্তনীর সম্পাদক মাতুয়ার মল্লিক। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তনীর কার্ষ্যকরী সভাপতি তথা সদর পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ গণি ইসমাইল মল্লিক, বর্ষীয়ান প্রাক্তনী তথা রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত কবীর পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট পুরাতত্ববিদ মহম্মদ ইয়াসিন পাঠান,পাঁচখুরি ৬/২ অঞ্চল প্রধান ফরিদ গায়েন, ১১ গ্রাম মুসলিম সমাজ সেবা কমিটির সভাপতি সব্যসাচী মন্ডল ও সম্পাদক সেক সেলিমুদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ আজীম আলি খাঁন, পরিচালন সমিতির সদস্য ইমদাদুল পাঠানসহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।
উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া,তাপস কুমার বর্মন, রবীন্দ্রনাথ মিদ্যা, দিব্যেন্দু সাহা, প্রদ্যুৎ কুমার জানা, তপন কুমার ধর, সমীর সেন প্রমুখ। সন্ধ্যায় মূল অনুষ্ঠানের পূর্বে প্রাক্তনীরা হাঁড়িভাঙ্গা, দড়ি টানাটানি, ব্যাকরেস, বালতিতে বল ছোঁড়ার মতো নানা মজাদার খেলায় অংশ নেন। সন্ধ্যায় নৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তি, স্মৃতিচারণা, বক্তব্যের মাধ্যমে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। নিজের বক্তব্যে বিদ্যালয়ের অগ্রগতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু সিনহা। শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া তাঁর বক্তব্যে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের সাফল্যের নানা খতিয়ান তুলে ধরেন। অন্যান্য বক্তারা প্রাক্তনীর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন এবং বিদ্যালয়ের উন্নয়নে প্রাক্তনীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। স্মৃতি চারণা করতে করতে গিয়ে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন বর্ষীয়ান প্রাক্তনী ইয়াসিন পাঠান, প্রভাত ভট্টাচার্য, মোশারফ হোসেনরা। মনোগ্রাহী সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু সিনহা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মাতুয়ার মল্লিক। শেষ লগ্নে মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠানের প্রাক্তনীদের মন জয় করেন শিল্পী আলোকবরণ মাইতি,দেবজিতা চক্রবর্তী ও সফল দাস। এঁদের সাথে যন্ত্র সঙ্গীতে সহযোগিতা করেন বিশিষ্ট যন্ত্রসংগীত শিল্পী প্রদীপ দাস ও তাঁর সহযোগীরা। গোটা অনুষ্ঠানটি সুন্দর ভাবে সঞ্চালনা করেন অনন্যা সামন্ত এবং তাঁকে সহযোগিতা করেন শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া। এদিনের এই প্রথম পুনর্মিলন উৎসবে সাড়ে তিনশোর বেশি প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।