অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ১৯ মার্চ: বাংলাদেশের সুপরিচিত এক প্রতিষ্ঠানে হিন্দু উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়ও মন্তব্য করেছেন। তাঁর পোস্ট করার ১ ঘন্টা পর শনিবার সকাল পৌনে ১০টায় লাইক, মন্তব্য ও শেয়ার দাড়িয়েছে যথাক্রমে ১৬০, ৩০ ও ১০। বেলা ১২টা১০-এ হয়েছে যথাক্রমে ৩০০, ৭০ ও ১৯।
তথাগতবাবু ফেসবুক এবং টুইটারে লিখেছেন, “বাংলা ‘কোরা‘-তে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বুয়েট)-তে কেন হিন্দু উপাচার্য নিয়োগ করা হলো? প্রশ্ন তুলেছেন হিমেল খাঁন। ১৭ জন সিনিয়র মুসলিম অধ্যাপক থাকতে কেন হিন্দু জুনিয়র অধ্যাপক সত্য প্রসাদকে বুয়েটের ভিসি করা হল? বুয়েটের নতুন উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার।“
প্রতিক্রিয়ায় তাইমুম সইফ হুসেইন লিখেছেন, “স্যার, উগ্র ধর্মান্ধ লোক সব দেশেই থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে এদের বাড় বাড়ন্ত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়), কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান না। কাজেই যারা বুয়েটের ভিসিকে সম্প্রদায় তুলে কথা বলছে এরা মূর্খ, ধর্মান্ধ, শূয়োর। তবে একটা বিশাল শ্রেণি কিন্তু এই শূয়োরদের মুখে ঝামা ঘষে দেয় অনলাইনে অফলাইনে। আমি সেই শ্রেণির একজন। এই ধর্মান্ধ শূয়োরদের জন্য আমি লজ্জিত। সত্য প্রসাদ স্যারের জন্য শুভকামনা। বুয়েটের সবচেয়ে ডায়নামিক ভিসিদের একজন হবেন তিনি, এই প্রত্যাশা আছে। ( বি: দ্র: সত্যপ্রসাদ মজুমদার স্যার জুন, ২০২০ সাল থেকেই বুয়েটের উপাচার্য)“
চন্দ্রানী ঘোষ লিখেছেন, “বাংলাদেশের হিন্দুদের অসম্মান, অপমান, লাঞ্ছনা, শোষণের শিকার হওয়া দেখেও শিক্ষা নেয় না এপা়ড়ের হিন্দুরা। অদ্ভুত!“
বিপ্লব কর্মকার লিখেছেন, “এটা একটা সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতি ভবনের প্রতি ফ্লোরে নমাজের জায়গা আছে কিন্তু অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনার জায়গা নেই।“
অভিষেক পন্ডিত লিখেছেন, “স্যার বাংলাদেশ হয়তো বুঝতে পেরেছে মাদ্রাসা ছাপ ইঞ্জিনিয়ার চলবে না।” পৃথ্বীরাজ লিখেছেন, “বাংলাদেশের উচ্চবর্নের হিন্দুরা উচ্চ শিক্ষিত। প্রায় নব্বই শতাংশ সরকাবি পদে তারা আছেন।“