আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৬ এপ্রিল: প্রধানমন্ত্রী আহ্বানে সাড়া দিয়ে মোমবাতি জ্বালালেন রামপুরহাট ষ্টেশনের শতাধিক ভবঘুরে। রবিবার ঘড়ির কাঁটায় ন’টা বাজতেই প্রত্যেকে মোমবাতি জ্বালিয়ে ন’মিনিট ধরে থাকেন। তাদের হাতে মোমবাতি তুলে দেয় রামপুরহাটের সাংবাদিকেরা।
রামপুরহাট শহরে শতাধিক ভবঘুরে রয়েছেন। লকডাউনের ফলে তাদের অন্ন সংস্থান নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন পুলিশ প্রশাসন থেকে সাংবাদিকরা। এরপরেই জরুরী বৈঠক ডেকে তাদের দু’বেলা অন্ন সংস্থানের ভার সাংবাদিকদের কাঁধে তুলে দেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌম্যজিত বড়ুয়া। সেই মতো ২৬ মার্চ থেকে বীরভূম জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, রামপুরহাট প্রেসক্লাব এবং এক শিক্ষক মিলে অভুক্তদের মুখে দু’বেলা অন্নের ব্যবস্থা করে চলেছেন। এই কাজে এগিয়ে এসেছেন বহু মানুষ, ব্যবসায়ী, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সকলের প্রচেষ্টায় চলছে এই কর্মকাণ্ড।
রবিবার রাত্রে সেই সমস্ত ভবঘুরেদের হাতে প্রথমে মোমবাতি তুলে দেন কলকাতার একটি বৈদুতিন মাধ্যমের সাংবাদিক অঞ্জন দে, শিক্ষক তারক নাথ মণ্ডল, বেকার যুবক তাপস মণ্ডলরা। ঘড়ির কাঁটায় ন’টায় তাদের মোমবাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তারা মোমবাতির আলো জ্বালিয়ে রাখেন। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখেন রামপুরহাট ষ্টেশনের আরপিএফ অফিসাররাও। এরপর হাত ধুয়ে রাত্রের খাবার খান ভবঘুরেরা।
শিক্ষক তারকনাথ মণ্ডল বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে আমরা সংহতির জন্য সকলকে দিয়ে মোমবাতি জ্বালালাম। যারা করোনা যুদ্ধে নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে লড়াই করছে তাদের কুর্নিশ জানাতেই প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বানে সাড়া দিলাম। ভবঘুরেদের ১১ দিন ধরে আমরা দু’বেলা খাবার পরিবেশন করছি। ফলে এই সময় বাড়ি যাওয়ার উপায় নেই। তাই সকলকে নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিলাম মোমবাতি জ্বালিয়ে”।