আমাদের ভারত, ২২ অক্টোবর: এলএসিতে লাদাখের বেশ কিছু অংশ নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে বিবাদ। ভারতের তরফে বরাবর দাবি করা হয়েছে ওই এলাকার তাদের। কিন্তু সম্প্রতি লাদাখের সবথেকে বড় শহর লের অবস্থান টুইটারে দেখানো হয়েছে চিনের ভেতরে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ ভারত। কেন্দ্রের তরফে টুইটারকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রে তরফে টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসিকে চিঠি দিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সচিব অজয় সাহানী। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের সংবিধান অনুযায়ী লাদাখ, জম্মু কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই টুইটারের মতো একটি সংস্থার মাধ্যমে এই ধরনের ভুল সংস্থার বিরুদ্ধে মানুষের মনে খারাপ প্রভাব ফেলবে।
একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, এই কাজের ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়েও মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হবে। যা কখনই উচিত নয়। চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে ভারতের মানচিত্রের ভুল ব্যাখ্যা কখনো বা কোনো মতেই মেনে নেবে না ভারত। দেশের মানুষের মনোভাবকে সম্মান করার আবেদন করা হয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে।
সম্প্রতি টুইটারে লাদাখের সবথেকে বড় শহর লে-কে চিনের ভেতরে দেখানো হয়েছে। এই লে লাদাখের হেডকোয়াটার। চিনের সঙ্গে ভারতের সমস্যা লাদাখ নিয়েই। তাই ভারত সরকারের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এই ভুল মানচিত্রের মাধ্যমে ভারতের অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে অপমান করা হয়েছে এটা আইনবিরুদ্ধ।
টুইটারকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র।
গত ১৫ জুনের ঘটনার পর থেকে ভারত চিনের সম্পর্কে চিড় ধরেছে। দু’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বিদেশ মন্ত্রী তথা সেনা পর্যায়ের একাধিক আলোচনা সত্বেও সমাধানসূত্র এখনও বেরোয়নি। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিন ও ভারত উভয়েই সেনা মোতায়েন করে রেখেছে।এমনকি কঠোর ঠান্ডাতেও লাদাখ থেকে এবার সেনা সরাবে না ভারত। এই পরিস্থিতিতে টুইটারের এই কাজে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ ভারত।