ছবি: বাড়ছে গঙ্গার জল।
প্রতীতি ঘোষ, আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২৪ মে: ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে গঙ্গা তীরবর্তী পৌর এলাকা সুরক্ষিত রাখতে ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বিপর্যয় মোকাবিলা করতে তৎপর হলেন ব্যারাকপুর মহকুমার বিধায়ক ও প্রশাসনের কর্তারা।
গত বছরে ঘূর্ণিঝড় আমফানের স্মৃতি এখনো দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে রয়েছে বছর না ঘুরতেই নতুন আতঙ্ক ঘূর্ণিঝড় যসের।
ইতিমধ্যেই ফুলে উঠছে গঙ্গার জল, আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসীরা। রাজ্য সরকারের নির্দেশানুযায়ী বিপর্যয় মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি গ্রহণ করছে পুরসভাগুলো।
ভাটপাড়া পৌরসভার পঞ্চায়েত এলাকাগুলিকে পাখির চোখ করেছেন প্রশাসন। পাশাপাশি নৈহাটিতে খোলা থাকবে কন্ট্রোলরুম। সেই কন্ট্রোলরুমে সারা রাত সজাগ থাকবেন পৌর প্রশাসক থেকে এলাকার বিধায়ক সকলেই। এইমধ্যেই বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে শুরু করে দমকল বিভাগের আধিকারিকদের সাথে সমস্ত আলোচনা সারা হয়ে গেছে বিধায়কদের।
ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী বলেন, “সব বিভাগের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে , মানুষ যাতে নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত থাকেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব ব্যবস্থা করা হয়ে গেছে কোনও সমস্যা হলেই আমরা এক সাথে ঝাঁপিয়ে পড়ব।”
অপর দিকে নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক জানান, “প্রশাসনের তরফ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, যেখানে আমরা সবাই সারা রাত জেগে সমস্ত দিকে নজর রাখবো কোথাও কোনও সমস্যা হলেই আমরা সেখানে পৌঁছে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করব।”
জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, “গত বারের বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আমরা আগে থেকেই তৎপর হয়ে গেছি। ঝড়ের পর জলের সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গাছ ভেঙে পড়লে সেগুলি দ্রুত সরানোর জন্য লোক রাখা হয়েছে। আমরা সব দিক দিয়ে এক ঝরের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত হয়েছি।”