Vote boycott, Bankura, রাস্তা বেহাল, খাটিয়া করে বয়ে নিয়ে যেতে হয় রোগীকে, ভোট বয়কটের ভাবনা বাঁকুড়ার একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১ আগস্ট: দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা বেহাল।প্রশাসন থেকে জনপ্রতিনিধি কারোর কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই, সেই অভিযোগ তুলে সরব বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের বেলডাঙ্গা সহ সন্নিহিত গ্রামের অধিবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ইন্দপুর ব্লকের ব্রজরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়দা মোড় থেকে বেলডাঙ্গা গ্রামের দূরত্ব ৩ কিলোমিটার। এই রাস্তাটির অবস্থা বেহাল। ছোট বড় গর্তে ভরে রয়েছে। বর্ষার জলে গর্তগুলি ভরে থাকায় দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্স চলাচল পর্যন্ত করতে পারে না। রোগীকে খাটিয়ায় করে বয়ে নিয়ে যেতে হয়। তারা আরোও জানান, আজ সকালেই একজন সবজিওয়ালা সাইকেল থেকে পড়ে যান। সবজি কাদায় ভরে যায়।

বেলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই রাস্তা দিয়ে বেলডাঙ্গা, ধানসাত, ইলামবাজার, মল্লিকডিহি, নয়দা ও জনড়া সহ ৮- ১০টি গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। তাদের অভিযোগ, জনপ্রতিনীধি ও প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি।

সতীশ দত্ত ও সবিতা দত্তদের বক্তব্য, রাস্তা এতটাই বেহাল যে, কোনো গাড়ি, এমনকি রিক্সা পর্যন্ত যেতে চাইছে না।ফলে হাঁটতে হচ্ছে। এই বড় রাস্তা থেকে গ্রাম ৩ কিলোমিটার। এই রাস্তা তাদের হেঁটে যেতে হবে। বারবার আবেদন নিবেদন জানিয়েও রাস্তাটির হাল ফেরেনি। গাড়ি তো দূরের কথা, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রামে ঢোকে না অ্যাম্বুলেন্স। দড়ির খাটিয়ায় করে রোগীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হয়। শুক্রবারেও এক বৃদ্ধা রোগীকে গ্রামবাসীরা চিকিৎসার জন্য এভাবেই নিয়ে যান। এই রাস্তার দু’পাশে জল বয়ে যাওয়ায় এতটাই গর্ত হয়েছে যে সেই রাস্তা দিয়ে কোনও চারচাকা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত অসম্ভব। কোনও মতে সাইকেল বা পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য স্কুল পড়ুয়ার যাতায়াত করে।

পড়ুয়ারা জানান যে, গত একমাসে কমপক্ষে ১০ জন পড়ুয়া সাইকেল থেকে কাদা রাস্তা পড়ে যাওয়ায় সেদিন তাদের আর স্কুলে যাওয়া হয়নি, বাড়ি ফিরে যেতে হয়। এই গ্রামগুলির শতাধিক মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। তাদের বক্তব্য, গত ৫-৬ বছর রাস্তা খুব খারাপ হয়ে রয়েছে। বর্ষা ও বৃষ্টি হলে হয়রানির অন্ত থাকে না। এবার রাস্তা মেরামত না হলে বড় আন্দোলন বা ভোট বয়কটের দিকে যেতে হবে বলে এই ৮-৯ গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *