পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ জানুয়ারি: একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন, তবু গ্রামের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রশাসন কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ তুলে এবার ভোট বয়কটের ডাক দিলেন গ্রামের মানুষ। আর ভোট বয়কটের ডাক দিতেই খবর গেল অভিনেতা তথা সাংসদ দেবের কাছে। তড়িঘড়ি গ্রামে পৌঁছালেন বিডিও। গ্রামে ঢোকার মুখে প্রধান রাস্তার উপরে ঝুলছে বড় পোস্টার। তাতে লেখা, “গোবিন্দ নগর পূর্ব বুথের, বেরা, মাঝি, আদক ও দাসপাড়ার পানীয়জল ও ঢালাই রাস্তার প্রতিশ্রুতির বঞ্চনায় ভোট বয়কট।” নিচে লেখা “পাড়ার অধীবাসীবৃন্দ।”
যদিও এ বিষয়ে গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য রেখা গোস্বামীর দাবি, “অল্প বিস্তর কিছু সমস্যা রয়েছে। কিন্তু ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে কিছু মানুষ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে।”
ভোট বয়কটের ডাকে অবশ্য নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। প্রশাসনের কাছে খবর যেতেই, তড়িঘড়ি গ্রামে গিয়ে পৌঁছান ব্লকের বিডিও থেকে শুরু করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা। সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয় প্রশাসনের উদ্যোগে। পরে ভোট বয়কটের পোস্টার খোলা হয়। ২০২২ পেরিয়ে ২০২৩ সাল, বছরের প্রথমেই পানীয় জল ও যাতায়তের রাস্তার জন্য ভোট বয়কটের পোস্টার। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ব্যবহার করতে হচ্ছে পুকুরের জল, নেই রাস্তা, তাই এবার পাড়ায় পাড়ায় ভোট বয়কটের ডাক।ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দাসপুর থানার গোবিন্দনগর গ্রামের।
গ্রামের মাজি, দাস, বেরা ও আদক পাড়ার প্রায় ২০টি পরিবারের শতাধিক মানুষের অভিযোগ, প্রায় ৪০ বছর ধরে তারা সামাজিক শোষনের শিকার। রাস্তা থেকে পানীয় জল জীবনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদাই পূরণ হয়নি। বছরের পর বছর ধরে তারা বঞ্চিত। এই ২০২৩-এ এসেও দূর থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হয়। স্থানীয় নন্দনপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এই সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগই নেয়নি। এই নিয়ে গ্রামের মানুষজন তীব্র ক্ষোভে ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে গ্রামে ঝুলিয়েছে পোস্টার।