পর্যবেক্ষণ কমিটিতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রতিনিধি নেওয়ার আবেদন, মুখ্যমন্ত্রী ও সেচমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৭ ডিসেম্বর: পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণের স্থায়ী প্রকল্প “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে” কেন্দ্র সরকার কোনও অর্থ বরাদ্দ না করায় রাজ্য সরকারই ওই প্রকল্প রূপায়ণ করবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সেজন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সেচমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আজ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে সম্প্রতি যে জেলা স্তরের পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠিত হয়েছে, সেই কমিটিতে সংগ্রাম কমিটির প্রতিনিধি সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আধিকারিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ওই স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছেন, দুই মেদিনীপুর জেলার তেরটি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের ওই প্রকল্প রূপায়ণের দাবিতে গত ১৯৯৬ সাল থেকে রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলন পরিচালনা করে আসছে। শুধু তাই নয়, ওই দাবিতে দিল্লিতে একাধিকবার কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রী সহ রাজ্যে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সমস্ত সেচ মন্ত্রীদের কাছে জনসাধারণকে যুক্ত করে ডেপুটেশন-বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে ওই দাবি তুলে ধরা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকেও একাধিকবার গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এমনকি ঘাটালে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেও বানভাসি মানুষজন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সব মিলিয়ে সম্প্রতি রাজ্য সরকার কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়াই প্রকল্প রূপায়ণের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।

নারায়ণবাবু অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর সেচ দপ্তরের নতুন মন্ত্রী হিসেবে মানস ভুঁইঞা দায়িত্ব নেওয়ার পরেই গত ৩০ অগাস্ট এক স্মারকলিপি মারফত জলসম্পদ ভবনে দেখা করে ঐ সংক্রান্ত কয়েকটি প্রস্তাব আমরা ওনার কাছে তুলে ধরেছিলাম। ওই প্রস্তাবের ৬ নম্বর প্রস্তাবে আমরা উল্লেখ করেছিলাম, মাস্টার প্ল্যানের অন্তর্গত কাজগুলি সুষ্ঠুভাবে রূপায়ণের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে “তদারকি কমিটি” গঠন করতে হবে। সম্প্রতি আমরা জানতে পারলাম, ওই বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ‘জেলা স্তরের পর্যবেক্ষণ কমিটি’ গঠিত হয়েছে। ওই কমিটিতে মানসবাবু সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। যে কমিটিতে ওই জেলার বিভিন্ন পদাধিকারী সহ জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন। কিন্তু ওই কমিটিতে আমাদের কমিটির কোনো প্রতিনিধিকে নেওয়া হয়নি। এছাড়াও, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক কোনো আধিকারিককেও কমিটিতে রাখা হয়নি। সেজন্য পর্যবেক্ষণ কমিটিতে আমাদের কমিটির অন্তত: একজন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা সহ যেহেতু “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান” পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটি মেগা প্রকল্প হিসাবে চিহ্নিত, তাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক সহ কয়েকজন প্রতিনিধিকে ওই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন জানিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী ও সেচমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *