রাজেন রায়, কলকাতা, ৯ নভেম্বর: কর্তৃপক্ষ যতই আয়োজন করুক না কেন যাত্রীরা সচেতন না হলে যেকোনো কিছুই সম্ভব নয় তা এদিন ফের স্পষ্ট করে দিলেন শিয়ালদহের ডিআরএম। দীর্ঘ সাত মাসের পর বুধবার থেকে চালু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন। কিন্তু ভিড় নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা। রেল ও রাজ্য সরকার এই বিষয়ে একাধিক আচরণবিধি জারি করেছেন। কিন্তু আশঙ্কা যাচ্ছে না, রেল তাই ভরসা রাখছে মানুষের সতর্কতা, সচেতনতাবোধের উপর। যাত্রীদের নিজের সুরক্ষার দায়িত্ব যাত্রীদেরই নিতে হবে।
শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিংর কথায়, ‘কাকে কীভাবে আটকানো যাবে? টিকিট কেটে সবাই ট্রেনে চড়বেন। এক ট্রেনে ৬০০ যাত্রী ঘোষণা করা হয়েছে। তা কি মানবেন যাত্রীরা? নিজের সুরক্ষা সম্পর্কে নিজেকেই সচেতন থাকতে হবে। কোন ট্রেনে কখন কীভাবে যাত্রা করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন সে ভাবনা ও দায়িত্ব যাত্রীর নিজের।’
রেল অবশ্য যাত্রী সচেতনতায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। সব স্টেশনের নানা জায়গায় কোভিড বিধি মেনে যাত্রার কৌশলের বিষয়ে পোস্টার লাগানোর কাজ চলছে। যেখানে ভিডিও এড্রেস সিস্টেম রয়েছে সেখানে তা দেখানো হবে। যে স্টেশনে অডিও এড্রেস সিস্টেম রয়েছে সেখানে শুধুমাত্র ঘোষণা হবে সচেতনতার।কোন রেল পুলিশ থানার আওতায় কতগুলি স্টেশন, ক’টা স্টেশনে কত পুলিশ দেওয়া যাবে, আরপিএফ কতো কর্মী দেবে, তা খতিয়ে দেখে অবিলম্বে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে রেল পুলিশকে।
তবে সূত্রের খবর, সব স্টেশনে ফোর্স দেওয়া সম্ভব নয়। অতিরিক্ত ভিড় যে স্টেশনে হয় সেখানে অফিসার দেওয়া হলেও কার্যত ছোট স্টেশনগুলিতে সিভিক পুলিশ দেওয়া হবে। পুলিশ মূলত বুকিং অফিস ও স্টেশনের ঢোকার মুখে থাকবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। বেগতিক দেখলে সেখানে যাবে বাড়তি ফোর্স। কোভিড সুরক্ষা বিধি নিয়ে আদর্শ বিধি প্রকাশ করেছে রাজ্য। তাতে বলা হয়েছে , চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে, ট্রেনের কামরায় ঘনঘন জীবাণু নাশ , মাস্ক পরে ট্রেনে ওঠা বাধ্যতামূলক, প্রতিটি স্টেশনে সতর্কতা বিধি ঘোষণা, বিজ্ঞাপন দিয়ে সতর্কতা বিধি প্রচার, রেল ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।