সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৪ এপ্রিল: বিজেপির বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার নবনির্বাচিত দুই জেলা সভাপতিকে সম্বর্ধনা জানালো ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের পুনর্বাসন প্রাপ্ত খটিয়াল গ্রামের কর্মী সমর্থকরা।
সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি জেলার জেলা সভাপতি বদল করা হয়েছে। বিজেপি বাঁকুড়া জেলাকেও দুটি সাংগঠনিক জেলা হিসেবে ভাগ করে সংগঠনের কাজ শুরু করেছে। এই দুই জেলার সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে দুই জেলা সভাপতিকেই বদল করেছে। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলায় নতুন যুব মুখ আনলেও বিষ্ণুপুরে ফের প্রাক্তন সভাপতিকেই ফিরিয়ে এনেছে রাজ্য বিজেপি। বাঁকুড়ায় নতুন মুখ যুবনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও বিষ্ণুপুরে পোড় খাওয়া রাজনীতিক সুজিত অগস্থীকে যথাক্রমে সুনীলরুদ্র মন্ডল ও বিধায়ক অমরনাথ শাখার জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রবিবার রাতে বিজেপির সেই দুই জেলা সভাপতিকে সংবর্ধনা দিলেন গঙ্গাজলঘাঁটি থানার খটিয়ালা গ্রামের বিজেপি নেতা- কর্মীরা।
ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের পুনর্বাসন পাওয়া এই গ্রামটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের সিএসআর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। এই গ্রামের বিজেপি নেতৃত্ব স্বপন ঘোষ বলেন, খাটিয়াল গ্রামের কৃষি জমি ও বাস্তু ভিটার উপর গড়ে উঠেছে ডিভিসির সর্ব বৃহৎ এই প্রকল্পটি। স্থায়ী চাকরি দেওয়ার চুক্তি থাকলেও আজও অধিকাংশ পরিবার তা থেকে বঞ্চিত। এই প্রকল্পটি দুটি সাংগঠনিক জেলার মধ্যেই পড়ে। তাই দুই জেলা সভাপতিকে ডেকে আমাদের বঞ্চনার কথা জানালাম। যাতে ডিভিসির সিএসআর পরিষেবাগুলি আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে সবার আগে পাই, তার ব্যবস্থা করবেন এই আশা প্রকাশ করে স্বপন ঘোষ তন্ময় মন্ডল, সমীর ঘোষরা বলেন, আমরা সুবিচারের আশায় রয়েছি।
এবিষয়ে সুজিত অগস্থী ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তারা কলকাতায় ছিলেন। ফিরতে দেরি হওয়ার জন্য সঠিক সময়ের পরে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় গ্রামবাসীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বলেন, তারা শীঘ্রই ডিভিসি কর্তৃপক্ষের কাছে সময় চাইবেন। তারা গ্ৰামবাসীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার উন্নয়ন ঠিকমত না হলে কেন্দ্রীয় প্রকল্প হলেও তারা আন্দোলন থেকে পিছপা হবেন না।