পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ আগস্ট: গত ২৯ অগস্ট জাতীয় ক্রিড়াদিবস। এই বিশেষ দিনটিতে মেদিনীপুর কলেজে (স্বশাসিত) অনুষ্ঠিত হলো ক্রিড়া ক্ষেত্রে উজ্জ্বল সাক্ষর রাখা কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান। সদ্য ইংলিশ চ্যানেল জয় করে আসা কলেজের সমাজতত্ত্ব বিভাগের ছাত্রী আফরিন জাবিকে আজ কলেজের বিবেকানন্দ হলে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সম্বর্ধনা দেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক সত্যরঞ্জন ঘোষ। আফরিনের সঙ্গে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় নেপালের কাঠমান্ডুতে আয়োজিত এশিয়ান পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক বিজয়ী কলেজের দর্শন বিভাগের ছাত্রী সুষমা মান্নাকে। সুষমার সঙ্গে ওই একই প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক বিজয়ী শান্তি দাস এবং সায়ন দাসকে সম্বর্ধিত করা হয়। সায়ন আর শান্তি কলেজের শারীর শিক্ষা বিভাগে পাঠরত। শারীর শিক্ষা বিভাগের আরেক ছাত্র সৌরভ দাস চেন্নাইয়ে আয়োজিত সাউথ এশিয়ান বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক জয় করেছে। আজকের সভায় তাকেও সম্বর্ধিত করা হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক সত্যরঞ্জন ঘোষ সবাইকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন। তাঁর স্বাগত ভাষণে তিনি কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সাধুবাদ জানান, এবং আগামী দিনে আরও সাফল্য পাওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানান। তাঁর বক্তব্যে, আফরিন তুলে ধরেন ইংলিশ চ্যানেল পার করার প্রতিকূলতার কথা। ইংল্যান্ডে আফরিন গর্বের সঙ্গে সর্বত্র নিজের মেদিনীপুর কলেজের ছাত্রী হওয়ার পরিচয় দেন। সাঁতারের শেষ পর্বে ক্লান্ত ও অবসন্ন মনকে কীভাবে তিনি মেদিনীপুরের মাটির সংগ্রামের ইতিহাসের কথা ভেবে উজ্জীবিত করেন তার কথাও বলেন। সভায় উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের আফরিনের কথা শোনার আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মত।
সুষমা, শান্তি, আর সায়ন তুলে ধরেন নেপালে তাদের ওয়েটলিফটিং প্রতিযোগিতায় সংগ্রাম ও সাফল্যের কথা। সৌরভ তুলে ধরেন বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতায় তার অভিজ্ঞতার কথা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কলেজের শারীরশিক্ষা বিভাগের শিক্ষিকা ডঃ মুনমুন মাইতি পান। পড়াশোনার জগতে মেদিনীপুর কলেজের সুনাম বিশ্বে সুপরিচিত। পড়াশুনোর পাশাপাশি ক্রিড়াক্ষেত্রেও কলেজ যে পিছিয়ে নেই তার পরিচয় মিলল আজকের অনুষ্ঠানে।