মেয়ের আত্মা শান্তি পেল, হায়দ্রাবাদ এনকাউন্টারে খুশি নির্যাতিতার পরিবার, “আমার ক্ষতে মলম” বললেন নির্ভয়ার মা

আমাদের ভারত,৬ ডিসেম্বর: এতদিনে যন্ত্রণাকাতর মেয়ের আত্মা শান্তি পেল। শুক্রবার সকালে গণধর্ষণে অভিযুক্ত ৪ ধর্ষক এনকাউন্টারে খতম হওয়ার খবর জানার পর এমনটাই বলেছেন তেলেঙ্গানায় ধর্ষিতা চিকিৎসকের বাবা। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি। অন্যদিকে সাত বছর ধরে দোষীদের শাস্তি অপেক্ষায় থাকা নির্ভয়ার মা বললেন পুলিশ ভালো কাজ করেছে, ওদের হাত বাঁধবেন না।

নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা বলেন, আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে দশ দিন হয়েছে। পুলিশ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার মেয়ের আত্মা নিশ্চয়ই এবার শান্তি পাবে।

অন্যদিকে এনকাউন্টারে চার অভিযুক্তর মৃত্যুর খবর পেয়ে নির্ভয়ার মা আশা দেবী বলেন, পুলিশ যে ওদের এভাবে শাস্তি দিয়েছে তাতে আমি আনন্দিত। পুলিশ খুব ভালো করেছে। তাদের বিরুদ্ধে যাতে কোন ব্যবস্থা না নেওয়া হয় সেই আবেদন আমি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, অন্তত একজন মেয়ে তো সুবিচার পেল পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। আশাদেবী বলেন, সাত বছর ধরে চিৎকার করে চলেছি আইন ভেঙে হলেও অপরাধীদের শাস্তি দিন। তারপর দেখুন সমাজে ভালোর জন্য বদল ঘটবে।

২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর রাতে নয়াদিল্লিতে গণধর্ষণে মৃত্যু হয় আশা দেবীর মেয়ে নির্ভয়ার। কিন্তু ঘটনার পর সাত বছর কেটে গেলেও আজও সুবিচার পাননি তিনি। তার কথায়, ‘ সুবিচারের আশায় এখনো আমি আদলের চক্কর কেটে চলেছি। ১৩ডিসেম্বর আরও একটা তারিখ পেয়েছি। বিচার ব্যবস্থা তথা সরকারের কাছে আবেদন করেছি যাতে নির্ভয়ার দোষীদের দ্রুত ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

আশা দেবী বলেছেন, হায়দ্রাবাদের নিহত তরুণী সুবিচার পেয়েছেন তাতে স্বস্তি পেয়েছি আমি। তিনি বলেন, ওই মেয়েটির মা-বাবা একথা ভেবে নিশ্চয়ই স্বস্তি পেয়েছেন যে তাদের মেয়ের আত্মার প্রতি সুবিচার হয়েছে। তার মতে এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ যারা করে এরপর তাদের মধ্যে একটা ভয় তৈরি হবে।

শুক্রবার রাত তিনটে নাগাদ ঘটনার পুননির্মাণ করার জন্য পশুচিকিৎসকের গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ জনকে সাদনগরের ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে আন্ডারপাসে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের দাবি সাদনগরের টোল প্লাজার কাছে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার স্বার্থে পুলিশ গুলি চালায় আর তাতে মৃত্যু হয় ওই চার জনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *