প্রাচীন ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছে রায়নগরের ব্রাইটস্টার ক্লাব

(ছবি: গত বছরের দুর্গাপুজোর)
আমাদের ভারত, ২৪ সেপ্টেম্বর: রাত পোহালেই মহালয়া। সচেতন বার্তায় সেজে উঠছে বিভিন্ন মণ্ডপ। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। সাজো সাজো রবে পুজো মণ্ডপ থেকে প্রতিমা গড়া। মণ্ডপ গড়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে ব্যস্ততা, মানুষ মেতেছে থিমের পুজোয়। দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরী শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগে থেকে। এর মধ্যেই অন্য রকম পুজোয় মেতে ওঠার চেষ্টা করছে রায়নগর ব্রাইটস্টার ক্লাব।

১৯৭৪ সালে সর্বজনীন প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে শুরু হয়েছিল ব্রাইটস্টার ক্লাবের পুজো। পুজোর সভাপতি শর্মিষ্ঠা ভদ্র জানান, এবার আমাদের ভাবনা ‘বনেদিয়ানা’। প্রাচীন ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য আমাদের এই প্রয়াস। গত দু’বছর বাজেট ছিল প্রায় ১ লাখ টাকা। এবার বেড়ে হবে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মত।

সভাপতির মতই দিন-রাত এক করে খাটছেন শম্পা সেন। পুজোকে সর্বাঙ্গ সুন্দর করে তুলতে কোমড় বেঁধে নেমেছেন মঞ্জু ভৌমিক, তপতী চেল, অর্পিতা দত্ত, রেখা দত্তরা। ওঁদের ব্যস্ততার পাশাপাশি আনন্দে মেতেছে সাগ্নিক দাস, সুব্রত দাসের মত বাচ্চারা। বিগত দুই বছর ধরে পাড়ার ছোটরা মিলে পুজো মণ্ডপ সাজাচ্ছে এবং পুরস্কারও পেয়েছে।

শর্মিষ্ঠা জানান, “চতুর্থীতে মায়ের আগমন হবে মণ্ডপে। পঞ্চমীতে পুজোর উদ্বোধন। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে প্রথাগত পুজার্চনার পাশাপাশি অষ্টমীতে ভোগ বিতরণ ও নবমীতে একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে একত্রিত হয়ে অনাথ শিশুদের মধ্যাহ্ণভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা নিরঞ্জন হবে স্থানীয় পীরপুকুর ঘাটে। উদ্যোক্তাদের আশা, টানা কয়েক মাসের পরিশ্রম যেন সার্থক হয়ে ওঠে জমাটি ভিড় দেখে। যদিও দুই বছর পুজোর জৌলুস ফিকে হয়েছে। তবে এ বছর পুরনো ছন্দেই জাঁকজমক পুজো কাটবে, এমনটাই আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *