আমাদের ভারত, ১১ আগস্ট: করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলল রাশিয়া। রুশ রাষ্ট্রপতি পুতিন ঘোষণা করলেন তার স্বাস্থ্যমন্ত্রক অনুমোদন দিয়েছেন এই ভ্যাকসিনকে। অনুমোদিত ভ্যাকসিনটি প্রথম দেওয়া হচ্ছে পুতিনের মেয়ের শরীরেই। রাশিয়ার এই করোনা ভ্যাকসিনের নাম স্পুটনিক ভি। রাশিয়ার তৈরি এই ভ্যাকসিনের বিপুল চাহিদা। ইতিমধ্যেই ২০টি দেশ থেকে কোটি কোটি ভ্যাকসিনের প্রি-অর্ডার এসেছে তাদের কাছে। অর্ডারের পরিমাণ ১০০ কোটির কাছাকাছি বলে দাবি করেছে রাশিয়া।
দীর্ঘদিন ধরেই করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল রাশিয়া। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে যখন তুমুল উত্তেজনা তখনই রাশিয়া জানিয়েছিল তাদের দেশে গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও রাশিয়ান ডিফেন্স মিনিস্ট্রি যৌথভাবে করোনার টিকা তৈরি করে ফেলেছে। রাশিয়া স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষাটি চলছে। সেই ধাপ শেষ হলেই বাজারে আসবে করোনা টিকা।
তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল ছাড়াই কিভাবে দেশের জনগণের জন্য এই ভ্যাকসিন বাজারে আনছে রাশিয়া, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে উঠেছিল। কিন্তু সেই প্রশ্নে জল ঢেলেছেন খোদ রাষ্ট্রপতি পুতিন।
পুতিন ঘোষণা করেছেন, পৃথিবীর প্রথম করোনা টিকা রেজিস্টার করল রাশিয়া। তিনি তার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ আপডেট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী পুতিন বলেছেন ভ্যাকসিনের ক্ষমতা প্রশ্নাতীত। তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভ্যাকসিন প্রস্তুতির সঙ্গে জড়িত সমস্ত কর্মীদের।
অন্তত ৬০ শতাংশ রুশ নাগরিকের শরীরে করোনা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। চলতি বছর অন্তত চার কোটি টিকা বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে রাশিয়ার। এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যকর্মী অন্যান্য জরুরী পরিষেবা কর্মীদেরকে টিকাকরণের কথা বলা হয়েছে। রুশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে অক্টোবর থেকে গণহারে টিকাকরণ হবে।
রাশিয়ায় করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বের বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিযোগ রয়েছে। তাদের অভিযোগ রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন এখনো পর্যন্ত মানব শরীরের সমস্ত ধাপ উন্নিত হয়নি। তাই এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।