আমাদের ভারত, ২ নভেম্বর: “এটা রাজনীতির উপাদান না, সমাজের চিন্তার বিষয়।” ধর্ষণ, খুন নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
শনিবার তিনি এক্সবার্তায় লিখেছেন, “আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার ঘটনা জঘন্য। স্থানীয় পূর্ব পরিচিতদের মধ্যেই পাশবিক প্রবৃত্তি থেকে এই কুৎসিত সামাজিক অপরাধ। নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ। এর সঙ্গে সাধারণ আইনশৃঙ্খলার কোনো সম্পর্ক নেই।
স্থানীয় মানুষ এক অভিযুক্তকে যে পিটিয়েছেন, সেটা স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া, দোষের কিছু নয়, এমনকি লোকটি মারা গেলেও যেন বাসিন্দাদের কোনো জটিল আইনি গেরোয় না পড়তে হয়। পাশবিক প্রবৃত্তি দেখালে তার সমুচিত প্রতিক্রিয়াও হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, এই যে ধর্ষণ, খুনের ঘটনা, জঘন্যতম অপরাধ, ফাঁসি, গ্রেপ্তার, ধিক্কার, আন্দোলন, মিডিয়ার প্রচার, সোশ্যাল মিডিয়ার সক্রিয়তার পরেও থামে না কেন? ধনঞ্জয় বলুন, বা দিল্লির নির্ভয়ার খুনিরা, ফাঁসি দিয়েও সমাজে এই বিকৃত রোগটা কমানো যায় না কেন? শুধু বাংলা নয়, সারা দেশে ঘটছে, অতীতে বাংলাতে আরও বেশি ঘটত, এটা কেন?
এই যে আর জি কর নিয়ে এত প্রতিবাদ, প্রচার, তার পরেও বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছিন্ন এই ঘটনা ঘটে কী করে? তাহলে কি এসব প্রতিবাদ সেই পশুদের স্পর্শ করে না? এই প্রবৃত্তি শুধু পুলিশ দিয়ে, ফাঁসি দিয়ে থামানো যায় না, অতীত থেকে প্রমাণিত, তাহলে? এটা রাজনীতির উপাদান না, সমাজের চিন্তার বিষয়। এক নাবালিকা যদি তার পরিচিত বয়ঃজ্যেষ্ঠের কাছে নিরাপদ থাকতে না পারে, তাহলে এই সমাজ কোন্ দায়িত্ব পালন করছে? শুধু একে অপরের দিকে আঙুল তোলার? ছিঃ।