আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১৩ আগস্ট: আরজিকর কাণ্ডে বীরভূমের রামপুরহাটে জুনিয়ার চিকিৎসকদের আন্দোলন অব্যাহত। এদিনও তাঁরা বহির্বিভাগ বন্ধ রেখে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যান। দুপুরে মিছিল করে ভাঁড়শালা মোড়ে প্রতীকী ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। বিকেলে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসের সামনে থেকে মিছিল বের করে মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছায়। মিছিলে অংশগ্রহণ করেন আই এম এ, সেলস রিপ্রেজেন্টিভ ও নার্সরা। এদিকে বামফ্রন্টের শাখা সংগঠন সিটুর পক্ষ থেকেও এদিন একই দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা।
সিটু নেতা অমিতাভ সিংহ বলেন, “এই সরকারের আমলে মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। তাই আমাদের দাবি ইন্টার্ন চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যুর সঙ্গে যুক্তদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সরকার যেভাবে আর জি করের অধ্যক্ষকে এক জায়গা থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় পোস্টিং করা হল তারও তীব্র বিরোধিতা করছি”।
হাসপাতালের অধ্যক্ষা করবী বড়াল বলেন, “ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন। মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন। আমরা চাই জুনিয়ার চিকিৎসকরা কাজে ফিরে এসে চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করুন। কিছু মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। তার জন্য এই কলেজের অধ্যক্ষা হিসাবে আমি লজ্জা বোধ করছি। সবটা আমার হাতে নেই। তবে নিরাপত্তার কিছুটা খামতি রয়েছে। ধীরে ধীরে আমরা নিরাপত্তা বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। ফলে সব সমস্যা মিটে যাবে”।