পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ জুলাই: চলতি নিম্নচাপজনিত প্রবল বৃষ্টির কারণে রাজ্যের কৃষি প্রধান জেলা হিসাবে পরিচিত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবজি ও ফুলচাষ ভীষণভাবে ক্ষতির মুখে।
সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতি ও কৃষক সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, দুর্গাপুজোর আর মাত্র দু’ মাস বাকি। টানা একমাসেরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টি চলতে থাকায় গাঁদা, দোপাটি সহ বিভিন্ন ফুল ও বাহারি পাতা বাগানের মাটি নিরবচ্ছিন্নভাবে ভিজে ও স্যাঁতসেতে থাকায় অর্ধেকেরও বেশি ফুল ও বাহারি পাতার গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি পাপড়িযুক্ত ফুলের ভেতরে বৃষ্টির জল ঢুকে কিছু পাপড়ি পচে গিয়ে ফুলের গুণমান নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে আসন্ন পুজোর মরশুমে ফুলের সঙ্কট দেখা দেবে।
অন্যদিকে ওই একই কারণে শাক- সবজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সবজিট বাগানও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলস্বরূপ বেশ কিছুদিন ধরেই সবজির দাম আকাশছোঁয়া। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে।
নারায়ণবাবুর অভিযোগ, একদিকে ফুল ও সবজি চাষ করতে বর্তমানে রাসায়নিক সার, বীজ, কীটনাশক সহ বিভিন্ন উপকরণের দাম যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সেই তুলনায় কৃষকরা ফসলের ন্যায্য দাম না পেয়ে চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অন্যদিকে ফুল ও সবজি অর্থকরী ‘কৃষিপণ্য’ হিসাবে চিহ্নিত নয়, সেই কারণে চাষিরা ‘শস্য বীমা’র সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ফলে ক্ষতি হলেও বীমার সাহায্য মিলছে না ওই কৃষকদের। সম্প্রতি এ বিষয়ে উদ্যানপালন দপ্তরের সচিবকে স্মারকলিপির মাধ্যমে দাবিও জানানো হয়েছে বলে উনি বলেন।
সংগঠনের দাবি, অবিলম্বে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ওই কৃষকদের পাশে দাঁড়াক। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বন্দোবস্ত করুক। পাশাপাশি ফুল ও সবজিকে ‘কৃষিপণ্য’ হিসাবে স্বীকৃতি দিক। তা না হলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনে উপায় থাকবে না।