আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৫ অক্টোবর: লক্ষ্মী পুজোর আগে দিঘার হোটেল মালিকদের লক্ষ্মী লাভের আশায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। পুজোর শুরুর দিনগুলিতে পর্যটকদের ভিড় তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও, শেষের দিকে ধীরে ধীরে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছিল। হোটেল বুকিংও কিছুটা হলেও আশাব্যঞ্জক ছিল। হঠাৎ করেই পুজোর দশমীর রাত থেকে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় দিঘার পরিস্থিতি আমূল বদলে যায়। প্রবল বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ায় ভ্রমণ পিপাসুদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। হোটেল ব্যবসায়ীরা বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
পুজোর মরশুমের শেষ দিকটা হোটেল মালিকরা ভরসার জায়গা হিসেবেই দেখছিলেন। একে পুজোর মাস তার ওপর রবিবারও ছুটির দিনে পর্যটকের চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি ও শঙ্করপুরে। সেই আশাতেই হোটেল কর্তৃপক্ষ নতুন বুকিংয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। লক্ষ্মী পুজোর আগে লক্ষ্মী লাভের আশা দেখছিলেন তারা। তবে বৃষ্টি শুরু হতেই ভিড় কমে যায় হু হু করে।
দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও পদিমা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুশান্ত পাত্র জানিয়েছেন, সৈকতে বেড়াতে নামার পরিবর্তে পর্যটকরা হোটেলের ভেতরেই ঘরের মধ্যেই বন্দি হয়ে আছে। পর্যটক সংখ্যা কমতে থাকায় স্থানীয় দোকান, রেস্তরাঁ ও অন্যান্য ব্যবসাতেও মন্দা দেখা দিয়েছে। তবে আশা করছি, আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটবে। আবার নতুন ছন্দে ফিরবে দিঘা। আমরা সর্বদাই বিপর্যয় মোকাবিলায় সবরকমের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছি।

