সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৪ সেপ্টেম্বর: রেল রোকো আন্দোলন প্রত্যাহার ঘোষণার পরও লাইনেই বসে থাকল কিছু মানুষ। কুস্তাউর স্টেশনের আন্দোলন স্থল থেকে চলে গেলেন কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ সিং মাহাতো। তাঁর দাবি, “কুড়মি সমাজ এই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যাঁরা এখন এই আন্দোলন প্রত্যাহারের বিরোধিতা করছেন তাঁদের সঙ্গে কুড়মি সমাজের কোনো সম্পর্ক নেই। আন্দোলন স্থল থেকে কুড়মি সমাজের নেতা কর্মীরা প্রত্যাহার করে চলে যাচ্ছেন। এর পরও যাঁরা এখানে বিক্ষোভ আন্দোলন করবেন তাঁদের কুড়মি সমাজের সংগঠনের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।”
যাঁরা চাইছেন না তাঁদের সঙ্গে কুড়মি আন্দোলনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলে সাফ জানিয়ে দিলেন অজিত প্রসাদ মাহাতো। তিনি আরও বলেন, “এরপর যদি কেউ আন্দোলন করেন তার দায় কুড়মি সমাজ নেবে না। পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যবস্থা নেবে।”
অবশেষে ৫ দিনের মাথায় আন্দোলন প্রত্যাহার করল কুড়মি সমাজের নেতৃত্ব। পুরুলিয়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চলা অবরোধ প্রত্যাহার করে কুড়মি সমাজের নেতৃত্ব। শনিবার পুরুলিয়ার জেলাশাসকের দফতরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং কুড়মি সমাজের সঙ্গে রাজ্য অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের মুখ্য সচিব সঞ্জয় বানসালের ভিডিও কনফারেন্স হয়। সেই কনফারেন্সে সিদ্ধান্ত হয় আন্দোলন তুলে নেওয়ার।
উল্লেখ্য, কুড়মি জাতিকে তপশিলি উপজাতি তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মকে স্বীকৃতি সহ একাধিক দাবিতে ছোটনাগপুর টোটেমিক কুড়মি মাহাতো সমাজের ডাকে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুরুলিয়ায় লাগাতার চলছিল রেল অবরোধ।